Salt Lake Illegal Buildings: ‘পুজোর পর বাড়ি ভাঙা হবেই, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে’, সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার পার্টি ED

Salt Lake Illegal Buildings: বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েন ভবনের প্রমোটার। তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, " কোথাও একটা ইট গাঁথলে পুরসভা বাধা দেয়। আপনারা পিসি সরকারের মতো। তাই কেউ জানতেই পারল না চারতলা বাড়ি হয়ে গেল!

Salt Lake Illegal Buildings: 'পুজোর পর বাড়ি ভাঙা হবেই, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে', সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার পার্টি ED
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2023 | 2:07 PM

কলকাতা: বিধাননগরে বেআইনি বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তে অনড় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বিচারপতি জানাচ্ছেন, পুজো আগে না, পরেই বাড়ি ভাঙা হবে। জল ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না আপাতত।  পাশাপাশি ইডি-কেও এই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। এই মামলার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, দুর্গাপুজোর আগে কারও মাথা থেকে ছাদ চলে যাক, তা চায় না আদালত। তবে বিচারপতি এটাও বলেছেন, পুজোর পর প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে বাড়ি ভাঙতে হবে।  বিচারপতি বলেন, “ওই ভবনের বাসিন্দারা প্রত্যেকেই গরীব। দেখে বোঝা যাচ্ছে, কেউ আদানি, কেউ আম্বানির ছেলে নয়। তবে যাঁরা এখানে বসবাস করছেন, তাঁরা অধিকাংশই বাইরে থেকে এসেছেন। মালিক নন তাঁরা।” বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুলিশ তদন্ত করবে, কারা বেআইনিভাবে বসবাস করছেন।”

প্রসঙ্গত, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ১৮১ শান্তি নগর এলাকায় একটি ভবনে বেআইনিভাবে নির্মীত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ‘আনঅথারাইজ়ড কনস্ট্রাকশনে’র অভিযোগ পাঁচিবালা পোলে বিধাননগর পুরনিগমকে জানায়।  সেই মামলায় সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সল্টলেকের ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান আবাসনের বাসিন্দারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবারের শুনানিতে নির্দেশ দেন,  সোমবার যাঁরা বিক্ষোভ করছিলেন, তাঁদের নাম ঠিকানা নিয়ে জমা করতে হবে আদালতে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আদালত। বিচারপতি স্পষ্টই বলে দেন, “বাড়ি ভাঙা হবেই। পুজোর পরে হবে বাড়ি ভাঙা।”

বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন,  “যাঁরা ওই ভবনের প্রমোটার ছিলেন, তাঁদের টাকা দিতে হবে ফ্ল্যাট মালিকদের। যাঁরা ডেভলপারদের টাকা দিচ্ছিলেন আর টাকা দিতে হবে না।”  পাশাপাশি এই মামলায় ইডি-কেও পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “ইডি এই মামলায় পার্টি হবে। বেআইনিভাবে এই ভবন কারা নির্মাণ করলেন,  তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলব। ছুটির পর এবিষয়ে তাঁরা খতিয়ে দেখবে কারা রয়েছেন এর পিছনে।”

বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েন ভবনের প্রমোটার। তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ” কোথাও একটা ইট গাঁথলে পুরসভা বাধা দেয়। আপনারা পিসি সরকারের মতো। তাই কেউ জানতেই পারল না চারতলা বাড়ি হয়ে গেল! বিচারপতির মন্তব্য, পুজোয় পুলিশের সংখ্যা কম থাকে। তাই পুজোর পর পুলিশের তৎপরতায় বাড়ি ভাঙা হবে। বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “দরকারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বাড়ি ভাঙার জন্য। ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।”

ওই এলাকার কাউন্সিলরকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “এত বড় বাড়ি কীভাবে তৈরি হল? তাঁদের দায়িত্ব কে নেবে এবার? এটাও সত্যি ওঁরা যাবেন কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্নের মুখে কাউন্সিলরকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, “ওঁরা অত্যন্ত গরীব। মাত্র ২০০ স্কোয়ার ফুটে থাকে। পুরসভাকে চিঠি দিয়েছি। অনেক আলোচনাও হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি। অনুরোধ করছি একটু বিবেচনা করুন।”

পুরসভার আইনজীবী শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বেআইনি নির্মাণকে কোনওভাবেই রেগুলারাইজেশন করা যায় না। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আইন কোন সহানুভূতি দেখে না। মেয়র ও কমিশনারকে অনুরোধ করছি কাউন্সিলরকে নিয়ে মিটিংয়ে বসার।” কোনও সমাধান পাওয়া যায় কিনা, সেটা দেখারও নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি নির্দেশ দেন, লক্ষ্মীপুজোর পর ২৪ নভেম্বরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান বের করতে। ১৯ ডিসেম্বরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।