Calcutta High Court: ‘সব মামলায় পুলিশ সুপারকে উপস্থিত থাকতে বলাটা দুর্ভাগ্যজনক’, হাওড়ার মামলায় পুলিশের ভূমিকা অসন্তুষ্ট আদালত

Calcutta High Court: মামলাকারী মহিলার আরও অভিযোগ, চাপ তৈরি করতে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছিল বেধড়কভাবে।

Calcutta High Court: 'সব মামলায় পুলিশ সুপারকে উপস্থিত থাকতে বলাটা দুর্ভাগ্যজনক', হাওড়ার মামলায় পুলিশের ভূমিকা অসন্তুষ্ট আদালত
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2023 | 1:35 PM

কলকাতা: “সব মামলায় যদি পুলিশ সুপারকে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়, তা দুর্ভাগ্যজনক।” হাওড়ার জমি সংক্রান্ত একটি ঝামেলা, অভিযোগকারিনীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় পুলিশি তদন্তের ওপর বিরক্ত প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই গোটা মামলায় মূল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এক মহিলার জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে। ৫ এপ্রিল ওই মহিলার বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তার ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের হয়। এলাকারই এক প্রোমোটার এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে জমি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। জমি দখল করতে গিয়ে ওই মহিলার স্বামীকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলও। তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে আসে পরিবার।

মামলাকারী মহিলার আরও অভিযোগ, চাপ তৈরি করতে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছিল বেধড়কভাবে। তারপর তাঁরও মৃত্যু হয়। সেটিও এই মামলায় উল্লেখ করা হয়। ঘটনায় মঙ্গলবার হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন।

সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, “তদন্তকারী আধিকারিকের আচরণ এত ঢিলেঢালা কেন ?” তাঁর প্রশ্ন, “৯ ই অগস্ট থানায় অভিযোগ জানানো হলেও কেন গুরুত্ব দিয়ে দেখল না পুলিশ?” রাজ্যের তরফ থেকে তখন জানানো হয়, “৯ অগস্টের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ না করার জন্য এক পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে।” রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, ১১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তাঁরা কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই জামিন পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের আইনজীবী।

বিচারপতি তখন বলেন, “সব মামলায় যদি পুলিশ সুপারকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিতে হয়, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।” রাজ্যের তরফ থেকে তখন জানানো হয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই মামলায় পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলাকারীদের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানোরও নির্দেশ দিয়েছেন।