Recruitment Scam: গৌতম পালের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Calcutta High Court: ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু গৌতম পালকেই নয়, সঙ্গে পর্ষদ সচিব পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, পর্ষদের বাকি সদস্যদের কীভাবে, কবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই, সেই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থার স্বাধীনতা থাকবে।
কলকাতা: প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Case) এবার বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকেও এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ওএমআর শিট (OMR Sheet Case) সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শুধু গৌতম পালকেই নয়, সঙ্গে পর্ষদ সচিব পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, পর্ষদের বাকি সদস্যদের কীভাবে, কবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই, সেই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থার স্বাধীনতা থাকবে। বুধবারই সন্ধে ৬ টায় পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ও পর্ষদ সচিব পার্থ কর্মকারকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সম্প্রতি যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে, সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি মনে করছেন, সিবিআই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট ডিজ়াইন করেছিল, যাতে প্রার্থীর নাম-রোল নম্বর কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। প্রচুর মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে আদালত মনে করছে, পর্ষদ কিছু নতুন প্রিন্ট করা কপি ডিজিটাইজ়ড ডেটা হিসেবে দেখাতে চাইছে। এমন অবস্থায় তাই যেহেতু বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন গৌতম পাল, তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে জেলবন্দি। প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে আসে মানিকের প্রসঙ্গও। বিচারপতি বলেন, সিবিআই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন। তারপর বর্তমানে যাঁরা পর্ষদের সদস্য রয়েছেন, তাঁরাও এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।