Calcutta High Court: নদিয়ায় পৈত্রিক ভিটে, যাদবপুরে ফ্ল্যাট… দু’সপ্তাহের মধ্যে সম্পত্তির হিসেব জমার নির্দেশ মানিককে
Manik Bhattacharya: বিচারপতি জানতে চান, মানিক বাবুর কী কী সম্পত্তি আছে? জবাবে মানিক ভট্টাচার্য আদালতে জানান, নদিয়াতে পৈতৃক বাড়ি আছে। সেখানে কিছু জমি আছে। ৬৫০ স্কোয়ার ফুট ফ্ল্যাটে থাকেন।
কলকাতা : বেশ অস্বস্তিতে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে তাঁকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। এরপর মঙ্গলবার ফের আদালতে হাজিরা দেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে ডেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তবে বিচারপতি বলেন, “তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে না, কারন তিনি বিধায়ক।”
মানিক ভট্টাচার্যকে বিচারপতি যে যে প্রশ্নগুলি করেন –
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, মানিক ভট্টাচার্যের কত বয়স? কোথায় জন্ম। মানিক ভট্টাচার্য জানান, ১৯৫৪ সালের ৭ মে। এই রাজ্যই জন্ম। ১৯৭১ উচ্চমাধ্যমিক। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তারপর কমার্সে স্নাতক পাশ বহরমপুর রাজা কৃষ্ণনাথ কলেজ। তারপর এম.কম। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। এরপর এলএলবি। যোগেশ চন্দ্র কলেজ থেকে ল পাশ। তারপর এলএলএম। যদিও কোনওদিন প্র্যাক্টিস করা হয়নি। ১৯৮১ সাল থেকে পড়াতে শুরু করেন। যাদবপুরে থাকেন। বাড়তে স্ত্রী, মেয়ে বিবাহিত, ছেলে থাকেন। স্ত্রী চাকরি করেন না। ছেলে এক্সিকিউটিভ আইটি রাজ্য সরকারের। আগে সিইএসসি-তে ছিলেন। পুত্রবধু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত।
এরপর বিচারপতি জানতে চান, মানিক বাবুর কী কী সম্পত্তি আছে? জবাবে মানিক ভট্টাচার্য আদালতে জানান, নদিয়াতে পৈতৃক বাড়ি আছে। সেখানে কিছু জমি আছে। ৬৫০ স্কোয়ার ফুট ফ্ল্যাটে থাকেন। যাদবপুরেই আর একটি ফ্ল্যাট আছে।
বিচারপতির পরের প্রশ্ন, গতকাল পর্যন্ত পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কোনও সেকেন্ড প্যানেল হয়েছে কি না, জানতেন কি তিনি? মানিক বাবু আদালতে জানান, “সব জানতাম। নিয়োগ রুল অনুযায়ী, এনসিটিই রেগুলেশন অনুযায়ী করেছি। প্রথমে প্যানেল প্রকাশের পর যদি শূন্যপদ থাকে, তাহলে ট্রেনিং ছাড়াও মেধা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের কথা বলা আছে। সাতটি বিভিন্ন ভাষার প্যানেল প্রকাশিত হয়েছে।”
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এরপর মানিক বাবুকে নির্দেশ দেন, নিজের ও পরিবারের সবার সম্পত্তির হলফনামা দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে আদালতে। ভবিষ্যতে কোনওদিন, আর কোনও সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করতে পারবেন না, সেই কথাও জানান বিচারপতি। মানিক ভট্টাচার্যও অবশ্য প্রতিশ্রুতি করেছেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে আমি কোনও ভুল তথ্য দেব না।”
মানিক বাবুকে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ এবং মেয়ের বিয়ের আগে কী উপহার এবং বিয়ের আগে পর্যন্ত সম্পত্তি হলফনামা আকারে দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৫ জুলাই।