Calcutta High Court: SSC মামলায় ২০ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রাপককে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
SSC Case: ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেসব প্রার্থীরা চাকরি করছেন, তাঁদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি করছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কী রয়েছে, তা জানিয়ে এই চাকরিজীবীদের প্রত্যেককে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য আগেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম একটি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এবার কড়া নির্দেশ দিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেসব প্রার্থীরা চাকরি করছেন, তাঁদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে বর্তমানে ২০ হাজার জনেরও বেশি চাকরি করছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কী রয়েছে, তা জানিয়ে এই চাকরিজীবীদের প্রত্যেককে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে যাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও নোটিস পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
আগামী ৯ জানুয়ারি এসএসসি নিয়োগ মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। সেদিনই এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছিল। সেখানে সিবিআই-কে নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য ২ মাসের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ৯ নভেম্বরের সেই নির্দেশের ডেডলাইন শেষ হচ্ছে জানুয়ারির ৯ তারিখ। সেদিনই হাইকোর্টে তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রসঙ্গত, এদিন চাকরিহারাদের পক্ষ থেকে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যের টাকা সবার টাকা। রাজ্য তো চায়নি, চাকরি যাক। তাহলে কে চাইছে, চাকরি যাক?’ তখন বিচারপতি দেবাশু বসাক প্রশ্ন করেন, ‘সিবিআই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করব? না জমার আগে শেষ হবে?’ উত্তরে কল্যাণ বলেন, ‘আগে শোনা হোক। সবাই দুর্নীতি না করলে, সবার চাকরি যাবে কেন? কেউ তো শুধু ধারণা থেকে ভেবে নিয়ে বলতে পারেন না দুর্নীতি হয়েছে।’
এদিন সিবিআই-এর তরফে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। দু’মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি জানন, রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। রিপোর্ট এলে তা জমা দেওয়া হবে। ৯ জানুয়ারির মধ্যেই তা করা হবে বলে জানান তিনি।