Bratya Basu: নিয়োগ না হয়েও শিক্ষকের ২১ হাজার শূন্যপদ কীভাবে কমে ৭৮১? শিক্ষাদফতরের অভ্যন্তরের খবরে রহস্যভেদ
Bratya Basu: শিক্ষাবিদদেরই একাংশ বলছেন, রাজ্যে যতগুলো স্কুল রয়েছে, যত সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে, তার অনুপাতের ভিত্তিতে শিক্ষক তো নেই-ই। পাশাপাশি সব স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকও নেই। শিক্ষামন্ত্রী যে হিসাব দিলেন. ৭৮১ টি শূন্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।
কলকাতা: প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক-সমস্ত স্তর মিলিয়ে রাজ্যে শিক্ষক পদ ফাঁকা ৭৮১টি। মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের বিরোধীরা দাবি করেছেন, রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। আর শূন্যপদের ‘ভিন্ন তত্ত্ব’ই এখন নিয়োগ জটিলতার নবতম সংযোজন। আদৌ কেন রাজ্য বলছে শূন্যপদ ৭৮১? রহস্যভেদ করল TV9 বাংলা। সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে আদালতে রাজ্য জানিয়েছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে ২১ হাজার শূন্যপদ খালি রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিকে অনেক শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সে সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিন্তু মামলার কারণে নিয়োগপত্র দেওয়া যায়নি। সেই পদগুলিকে শূন্যপদ হিসাবে ধরা হচ্ছে না।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গোটা রাজ্যে এখন শিক্ষকের চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা হচ্ছে ৭৮১। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শূন্যপদের সংখ্যা ১৩ জন, মাধ্যমিক স্কুলে ২৮, আপার প্রাইমারি ৪৭৩, প্রাইমারি স্কুল ২৬৭ টি শূন্যপদ রয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি যে তিন লক্ষ শূন্যপদের কথা বলছিল, সেটা সম্পূর্ণ ভুয়ো।”
শিক্ষাবিদদেরই একাংশ বলছেন, রাজ্যে যতগুলো স্কুল রয়েছে, যত সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে, তার অনুপাতের ভিত্তিতে শিক্ষক তো নেই-ই। পাশাপাশি সব স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকও নেই। শিক্ষামন্ত্রী যে হিসাব দিলেন. ৭৮১ টি শূন্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।
প্রশ্ন উঠছিল, কেন এই ৭৮১-র গেঁরো?
শিক্ষাদফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, জুলাই মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি হলফনামা জমা দেয় শিক্ষাদফতর। সেখানে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ২১ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। তাহলে হঠাৎ করে কীভাবে এত কমে গেল? শিক্ষা দফতর বলছে, যে শূন্যপদগুলিতে ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেগুলিকে আর ‘শূন্য’ হিসাবে গণ্য করা হবে না। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও যদি ওই পদগুলি ফাঁকা থেকে যায়, তখন ফের সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর ভিন্ন মতকে ঘিরে সরব বিরোধীরাও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “যদি আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদ তুলে ধরেন, তাহলে তো আর জটিলতা মেটার কোনও আশাই দেখা যাচ্ছে না।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় যে লিখিত তথ্য দিয়েছিলেন, তা সবার কাছে আছে। সেখান থেকে আজ তিনি সরে আসছেন। সেই হিসাবে দাঁড়ায় রাজ্যে শূন্যপদের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ।”