Calcutta High Court: নাবালিকার ছবি-নাম কীভাবে কেস ডায়েরিতে? বাগুইআটি থানার ‘অতি গর্হিত কাজে’ কড়া হাইকোর্ট
Minor Girl Missing Case: অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহ পরে ফের মামলার শুনানি রয়েছে। সেই দিন পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
কলকাতা: পাচার হওয়া এক নাবালিকাকে উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের কেস ডায়েরি নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি-সহ নাম লিখে দেওয়ার ঘটনার বিরক্ত আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, বাগুইআটি থানা অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে। এমন কাণ্ড কীভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুলিশের কমিশনারকে। অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহ পরে ফের মামলার শুনানি রয়েছে। সেই দিন পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
এর পাশাপাশি আরও একটি অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যে যুবক নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে, তাঁকেই পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। উল্লেখ্য, পরিবারের বক্তব্য ছিল, গত ২৩ মার্চ তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর ১৬-র ওই কিশোরী। সেই সময়ে নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই সন্দেহে অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। পরে আরও একটি তত্ত্ব উঠে আসে যে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে তাঁর প্রেমিক। অথচ সেই যুবককেই পুলিশ অভিযুক্ত হিসেবে কীভাবে গ্রেফতার করল? তা নিয়েও পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত।
আদালতের বক্তব্য, নাবালিকার গোপন জবানবন্দিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছে ওই যুবক। সেক্ষেত্রে কেন ওই যুবককে অভিযুক্ত সাজিয়ে গ্রেফতার করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। বিচারপতির প্রশ্ন, কেন পুলিশ গোপন জবানবন্দি দেখল না? নাকি দেখেও দেখল না? ওই যুবক পাচারচক্র ভাঙতে চেষ্টা করেছিল। সেই চক্র যাতে চলতে পারে, সেই রাস্তাই কি করে দিচ্ছে পুলিশ? পুলিশের হাতে গ্রেফতার ওই যুবককে মঙ্গলবার জামিন দেয় আদালত।