Calcutta High Court: ‘নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিয়ে খেলছেন’, পুলিশের ভূমিকায় ‘হতাশ’ বিচারপতি মান্থা

Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থা কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, "একটা বিষয় স্পষ্ট বলছি, দুর্নীতির কোনও অভিযোগে দেশের কোনও আদালত তদন্তে বাধা দেবে না। কিন্তু তদন্ত সংস্থা যদি ত্রুটি করে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।"

Calcutta High Court: 'নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিয়ে খেলছেন', পুলিশের ভূমিকায় 'হতাশ' বিচারপতি মান্থা
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2022 | 10:15 PM

কলকাতা: হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পুলিশকে কার্যত তুলোধনা করলেন বিচারপতি। কি প্রয়োজনে এত তাড়াহুড়ো করা হল? তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের। বিচারপতি মান্থা কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, “একটা বিষয় স্পষ্ট বলছি, দুর্নীতির কোনও অভিযোগে দেশের কোনও আদালত তদন্তে বাধা দেবে না। কিন্তু তদন্ত সংস্থা যদি ত্রুটি করে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”

বিচারপতির প্রশ্ন, “এখানে কি এমন হল যেখানে এত দ্রুত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হল? এটার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই। আমি পুলিশের ভূমিকায় হতাশ। এমন কিছু উদাহরণ দেখান, যেখানে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বা তিনি তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন।” পুলিশ যাতে নিজেকে শুধরে নেয়, সেই পরামর্শও দেন বিচারপতি। সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের একটি নির্দেশনামার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার দেখুন, তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ হতে পারে এমন ভূমিকায়। তাঁকে সতর্ক করুন। আপনারা নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিয়ে খেলছেন। পুলিশ কি আইনের ঊর্ধ্বে?”

যদিও সঙ্গে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এও বলেন, “সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে ফাঁক যেন না থাকে। কিন্তু তার মানে এটা নয়, পুলিশ নিজের মতো চলবে।” পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “একজনকে তদন্তে দরকার, অথচ তাঁকে ৪১ -এ নোটিস দেওয়া হল না! কীসের এত তাড়া যে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হল?” বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্য আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানিতে আদালতের এই সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে সন্তুষ্ট করবে আশা করছি।”

এই প্রথম নয়, এর আগেও এই মামলায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কেন এতদিন পরে অভিযোগ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “২০১৯ সালে টেন্ডার হল। কাজ শেষ। টাকা পেলেন। ৮৯ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে গেল। তার দুই বছর পরে আপনার অভিযোগ করার কথা মনে পড়ল? এটা ঠিক হজম হল না। দুই বছর পরে আপনি জেগে উঠলেন?”