Manik Bhattacharya: মানিক-পত্নীকে হেফাজতে রেখে ট্রায়াল কেন, ইডির কাছে প্রশ্ন হাইকোর্টের
ED: আদালতের পর্যবেক্ষণ, মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামী। শতরূপার প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কা বা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু ৭ জানুয়ারি থেকে সময় পেয়েছে ইডি। এত দিন কী করল?
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। শুক্রবার মানিকের স্ত্রীর জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। আদালত জানতে চায়, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে গ্রেফতারের এত মাস পর এমন কী হল যে হেফাজতে রেখে ট্রায়াল করতে চাইছে ইডি? সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামী। শতরূপার প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কা বা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। কিন্তু ৭ জানুয়ারি থেকে সময় পেয়েছে ইডি। এত দিন কী করল? আদালত জানতে চায়, হঠাৎ কী হল যে কাস্টডিয়াল ট্রায়াল দরকার হয়ে পড়ল? ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, ‘শতরূপা নিম্ন আদালতে জামিন চাননি। হাইকোর্টে চেয়েছেন। আচরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন না করে হাইকোর্টে জামিন কীভাবে চাওয়া হচ্ছে?’
নিয়োগ মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানিকের স্ত্রী ও ছেলের ভূমিকা। এর আগে ইডি জানিয়েছিল, দুর্নীতির টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিক-পত্নী, সন্তান। শুধু তাই নয়, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও ইডির নজরে। এমনও ইডির দাবি ছিল, তাঁদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে এমন একজন যুক্ত, যিনি বহু আগে মারা গিয়েছেন। অথচ অ্যাকাউন্ট এখনও চলছে। শতরূপা এই ঘটনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত বলেও দাবি ছিল ইডির। মানিক ভট্টাচার্যের ‘কীর্তি’র সবটাই স্ত্রী জানতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।