Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত মামলা, বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

Calcutta High Court: এসডিও-র বক্তব্য শুনে তারপরেই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সিঙ্গল বেঞ্চ। নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীক ঘোষ।

Calcutta High Court:  তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত মামলা, বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2023 | 1:45 PM

কলকাতা: উলুবেড়িয়ার পঞ্চায়েতের নথি বিকৃত করার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল সিঙ্গল বেঞ্চেই। সিঙ্গল বেঞ্চকে বিস্তারিতভাবে এসডিও-র বক্তব্য শোনার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের। এসডিও-র বক্তব্য শুনে তারপরেই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সিঙ্গল বেঞ্চ। নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীক ঘোষ।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত করার অভিযোগ। নথি বিকৃত মামলায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। গত বৃহস্পতিবার সেই তিন আধিকারিককে সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীককুমার ঘোষ, বিডিও নিলাদ্রীশেখর দে, জাতি শংসাপত্র বিভাগের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর কৃপাসিন্ধু সামইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। উলুবেড়িয়ার বিডিও-এসডিও-কে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্যকে সুপারিশ করেন বিচারপতি সিনহা।

আগেই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিডিও। তাঁর আবেদন আগেই খারিজ করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। মনোনয়ন গ্রহণ করা বা বাতিল করার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। এসডিও-র তরফে সওয়াল করেন, এই কাজ বিডিও বা রিটার্নিং অফিসারের।

ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদদের কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু আপনি কিছুই করেননি। তারপর হঠাৎ করেই মামলাকারী কাশ্মীরা খানের শংসাপত্র নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ শুরু করলেন।”

এসডিও-র আইনজীবী সওয়াল করেন, “আমার বিরুদ্ধে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাকে জাতিগত শংসাপত্র থেকে বিরত রাখা হোক। আমার কোনও অসুবিধা নেই।” তাঁর আরও বক্তব্য, “শেষ দু’বছরে প্রায় দেড় লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র আমি দিয়েছি। কোনও অভিযোগ নেই। সাসপেন্ড করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে?”

এরপর রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, “এসডিও- কে কার্যভার হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং এসডিও কার্যভার হস্তান্তর করেও দিয়েছেন।” এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এসডিও-র বক্তব্য শুনে তারপরেই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সিঙ্গল বেঞ্চ।