Panchayat Board: বোর্ড গঠনের আগে কড়া পদক্ষপ নয়, থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও, আদালতে স্বস্তি নন্দীগ্রামে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের

Calcutta High Court: হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১২ অগস্ট অর্থাৎ, শনিবার পর্যন্ত ওই ৪৭ জন জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। একইসঙ্গে আগামিকাল বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে ওই জয়ী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

Panchayat Board: বোর্ড গঠনের আগে কড়া পদক্ষপ নয়, থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও, আদালতে স্বস্তি নন্দীগ্রামে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2023 | 3:53 PM

কলকাতা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। নন্দীগ্রাম-১ ও নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৭ জন জয়ী প্রার্থীর মামলায় জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামিকাল অর্থাৎ, ১১ অগস্ট বোর্ড গঠন রয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১২ অগস্ট অর্থাৎ, শনিবার পর্যন্ত ওই ৪৭ জন জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। একইসঙ্গে আগামিকাল বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে ওই জয়ী প্রার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন, তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওই ৪৭ জন জয়ী প্রার্থীর বোর্ড গঠনে উপস্থিতি নিশ্চিত করে তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, বোর্ড গঠনের আগে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। সেই আশঙ্কা থেকেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপির ওই জয়ী প্রার্থীদের বক্তব্য ছিল, বোর্ড গঠনের সময়ে যাতে তাঁরা উপস্থিত না থাকতে পারেন, সেই কারণেই মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁদের। সেই সন্দেহ থেকেই হাইকোর্টে মামলা করেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। শেষ পর্যন্ত আজ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী নির্দেশে ওই বিজেপি প্রার্থীদের ১২ তারিখ পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হল।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার ভোটপর্ব মেটার পর বোর্ড গঠনেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা অভিযোগ তুলেছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁদের বোর্ড গঠনে উপস্থিতি আটকাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। এমন অবস্থায় শনিবার পর্যন্ত আদালতের রক্ষাকবচে কিছুটা স্বস্তি পেলেন ওই নন্দীগ্রাম-১ ও নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ওই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা।