Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Singur: টাটাকে রাজ্যের ক্ষতিপূরণ মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন হাইকোর্টের বিচারপতি

Tata Nano Case ২০০৬ সালের ঘটনা। বিধানসভা ভোটে বামেদের বিপুল জয়ের পরই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, রাজ্যে একটি মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির বিষয়ে তিনি রতন টাটার সঙ্গে কথা বলেছেন। বলেছিলেন, ১ লাখি গাড়ির কারখানা হবে হুগলির সিঙ্গুরে। সেই গাড়ির নাম দেওয়া হবে ন্যানো। এই কারখানা তৈরির জন্য টাটা গোষ্ঠীকে প্রায় হাজার একর জমিও দেয় রাজ্য। তবে যেখানে কারখানা হওয়ার কথা ছিল, সম্পূর্ণই কৃষিজমি।

Singur: টাটাকে রাজ্যের ক্ষতিপূরণ মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন হাইকোর্টের বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2024 | 7:23 AM

কলকাতা: টাটাকে ‘সিঙ্গুর-ক্ষতিপূরণ’ দেওয়ার মামলায় সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। গত অক্টোবর মাসে সিঙ্গুরের জমি নিয়ে গঠিত আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দেয়, টাটা মোটরস সংস্থাকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ করে সুদও দিতে হবে ওই টাকার উপর।

এর অর্থ, যতদিন রাজ্য সরকার টাটাকে পুরো টাকা না দিচ্ছে, ততদিন ওই সুদ দিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও মামলার খরচ বাবদ ১ কোটি টাকা দিতে হবে টাটা গোষ্ঠীকে। এদিকে ট্রাইবুনালের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই মামলায় রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত উপস্থিত ছিলেন। যদিও মামলার শুরুতেই বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন তিনি এই মামলা শুনবেন না। ফলে ফের পিছিয়ে গেল শুনানি।

২০০৬ সালের ঘটনা। বিধানসভা ভোটে বামেদের বিপুল জয়ের পরই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, রাজ্যে একটি মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির বিষয়ে তিনি রতন টাটার সঙ্গে কথা বলেছেন। বলেছিলেন, ১ লাখি গাড়ির কারখানা হবে হুগলির সিঙ্গুরে। সেই গাড়ির নাম দেওয়া হবে ন্যানো। এই কারখানা তৈরির জন্য টাটা গোষ্ঠীকে প্রায় হাজার একর জমিও দেয় রাজ্য। তবে যেখানে কারখানা হওয়ার কথা ছিল, সম্পূর্ণই কৃষিজমি।

সিঙ্গুরের কৃষকদের একাংশ এই কারখানার বিরোধিতা করে। তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ান সেই সময়ের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল চাপের মুখে পড়ে ২০০৮ সালে টাটারা সিঙ্গুর থেকে বিদায় নেয়। এরপরই টাটা মামলা করে। সুপ্রিম কোর্ট বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণকে অবৈধ বললেও আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নির্দেশ দেয়।