Lalan Sheikh: লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট
Calcutta High Court: লালন শেখের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুব খারাপ।”
কলকাতা: সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হওয়া বগটুই কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সন্তুষ্ট করতে পারল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে। লালন শেখের ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুব খারাপ।” পাশাপাশি এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এইমস দিল্লি বা এসএসকেএম-এর মতো হাসপাতালের থেকে মতামত নেওয়ার জন্য রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে লালন শেখের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী একাধিক সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-কে। আদালতে সিআইডি-র জমা দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিরুদ্ধে সরব হয় সিবিআই। তাঁদের দাবি, লালনের মৃত্যু নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এর পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এমনকি আগামী ১৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির সময় মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লালন শেখের মৃত্যু তদন্তে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। সে ব্যাপারে বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা নোটিস দিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিআইডি।
লালনের মৃত্যুর বিষয়ে সিবিআইয়ের আপত্তির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যে। রাজ্যের বক্তব্য, এখানে সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা না এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন এসেছে? এখনও তদন্তে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। এমনকি লালনের স্ত্রী রেশনা বিবির সই নিয়ে সিবিআই-এর প্রশ্ন তোলার ব্যাপারেও সরব রাজ্য। সেই সঙ্গে রাজ্যের যুক্তি, ১৪ ডিসেম্বর মামলা শুরু হয়েছে। মামলা যে পর্যায়ে আছে, তাতে এখনও কেস ডায়েরি দেখার সময় আসেনি বলে মত রাজ্যের। তখন বিচারপতি বলেন, “যেহেতু FIR নিয়েই নানা প্রশ্ন এসেছে, তাই কেস ডায়েরি দেখার দরকার ছিল।” এর পাশাপাশি বিচারপতি সাফ বলেছেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুব খারাপ। এটা নিয়ে আগে সন্তুষ্ট করুন। বাকি ব্যাপারে পরে বলব। এইমস দিল্লি ও এসএসকেএম-এর মতো কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠিয়ে মতামত নেওয়া হোক।”
পাশাপাশি রাজ্যের বক্তব্য, ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছিলেন, আলোর অভাবে ইনকোয়েস্ট করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সিবিআই পাল্টা দাবি করে, সকাল ১১টায় হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। তাহলে আলোর অভাবের দাবি কোথা থেকে এল? পাশাপাশি সিবিআই-কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ নিয়ে সিবিআই-এর আইনজীবী বলেছেন, “এখানে রেশমা বিবি ও অফিসার সবাই তদন্তের মধ্যে। সেখানে রাজ্য তদন্ত করলে নিরপেক্ষ হবে না। আর এই ইস্যুটা নিয়ে সিবিআই-কে পাবলিকলি কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। যাতে এজেন্সি অন্য তদন্তগুলো করতে সমস্যায় পড়ে। তাই সিবিআই মামলা করেছে। অফিসাররা নয়।”