Calcutta High Court: সোনারপুর থানা তদন্ত থেকে অন্য থানার হাতে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
Sonarpur Police Station : সোনারপুর থানার তদন্তে অনাস্থা। অন্য থানার পুলিশ অফিসার দিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ।
কলকাতা : এক থানার তদন্ত অন্য থানার হাতে। পুলিশে অনাস্থায় নজিরবিহীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সোনারপুর থানার তদন্তে অনাস্থা। অন্য থানার পুলিশ অফিসার দিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ। বারুইপুর পুলিশ সুপারকে আজ এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
অশোকনগর থানার পুলিশ কর্মী সুরাফ হোসেন গত ৬ অগস্ট আক্রান্ত হন সোনারপুর থানার পুলিশের হাতে। সেই নিয়ে অভিযোগ করলেও পদক্ষেপ করেনি সোনারপুর থানার পুলিশ। উল্টে আক্রান্ত পুলিশকর্মীকেই আক্রমণকারী সাজানোর অভিযোগ করা হয়েছে হাইকোর্টে। ঘটনাটি ঘটেছিল সোনারপুরে।
সেই ঘটনাতেই এবার সোনারপুর থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া সোনারপুর থানার থেকে সরিয়ে অন্য থানায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য ৬ অগস্ট অশোকনগর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকর্মী সুরাফ হোসেন সোনারপুর থানার পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী অশোকনগর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় কর্মরত হলেও তাঁর বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকায়। নিজের বাড়ি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা নিয়ে সোনারপুর থানায় যান সুরাফ। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, সেই সময়েই সোনারপুর থানার পুলিশকর্মীরা তাঁকে মারতে শুরু করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি অভিযোগ জানাতে গেলে গোটা পরিস্থিতির দায় তাঁর উপরেই চাপিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ঘটনা তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। অথচ, উল্টে তাঁকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকেই নাকি হামলাকারী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ অশোকনগর ফাঁড়ির ওই পুলিশ কর্মীর।
সাধারণত, এই ধরনের ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন সেই সংশ্লিষ্ট থানাকে দিয়েই এই ধরনের তদন্ত করানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে মামলাটি উঠলে দেখা যায়, ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া তেমনভাবে কিছুই এগোয়নি। এই পরিস্থিতিতে যদি সোনারপুর থানার হাতেই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে যায়, তাহলে কতদূর কাজ হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই কারণেই বারুইপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া সোনারপুর থানার হাত থেকে সরিয়ে অন্য থানার কাছে হস্তান্তর করতে হবে।