Calcutta High Court: বুথের ভিডিয়ো ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে! বিডিও-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: হাইকোর্টের বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু'টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি।
কলকাতা: বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন না হওয়ার মামলায় হাইকোর্টে ধমক খেলেন বিডিও। ওই ব্লকের একটি বুথে পরাজিত সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর এজেন্টদের ভোটের দিন ও গণনার দিন মারধর করে বের কর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল হাইকোর্টে।
আজ হাইকোর্টের বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিডিও-র। সেই কারণেই ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। কিন্তু বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও-র এই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে ভিডিয়ো ফুটেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে! তাহলে সিসিটিভি রাখার উদ্দেশ্য কী?
মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এদিকে ওই পঞ্চায়েতে আগামী ৮ অগস্ট বোর্ড গঠনের কথা রয়েছে। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বোর্ড গঠন করা হলেও সেই বোর্ডের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপরে। আগামী ৩০ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।