Arjun Singh Security: অনুগামীরা ‘ফলো’ করে অসুবিধা কোথায়? অর্জুনকে কোনও অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা নয়, জানিয়ে দিল আদালত

Arjun Singh: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, "হুমকির উপর নির্ভর করে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি। কোনও রাজনৈতিক দলের উপর নয়।"

Arjun Singh Security: অনুগামীরা 'ফলো' করে অসুবিধা কোথায়? অর্জুনকে কোনও অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা নয়, জানিয়ে দিল আদালত
অর্জুন সিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 3:18 PM

কলকাতা : বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি করার কয়েকদিন পরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে অর্জুন সিং-এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। তবে বিজেপি-ত্যাগী সাংসদ অর্জুন সিংকে অন্তর্বতীকালীন কোনও নিরাপত্তা দিতে রাজি নয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, “হুমকির উপর নির্ভর করে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি। কোনও রাজনৈতিক দলের উপর নয়।” অর্জুনের দাবি ছিল, ব্যারাকপুরের মতো জায়গায় বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। শ’য়ে শ’য়ে সমর্থক তাঁকে ঘিরে থাকেন। তবে অর্জুনে এই দাবিতে বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনার অনুগামীরা আপনাকে ফলো করবে। এতে অসুবিধা কোথায়?”

কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, অর্জুন সিংকে যখন নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, তখন রাজ্যের নিরাপত্তা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছিল। নমিত সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাঁকে ১২ মে এনআইএ গ্রেফতার করেছে। এই মুহূর্তে তাঁর (অর্জুন সিং-এর) জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। তবে আবার যদি কেন্দ্রের কাছে কেউ আবেদন করেন, সেই বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।

কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়, এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একটি হলুদ খাতা (ইয়োলো বুক) রয়েছে। এই হলুদ খাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় একটি নথি। এটিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চেক করা হয় কার কার নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে। রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে আইনজীবী অনির্বাণ রায় অবশ্য বলেন, এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সাংসদ নন, তাঁরা শুধুমাত্র পদাধিকারী এবং তাঁরাও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। এই কথায় বিচারপতি জানান, কারও উপর হুমকি কীরকম রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি। কোনও রাজনৈতিক দলের উপর এটি নির্ভর করে না।” কেন্দ্র এই সংক্রান্ত বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০ জুলাই।