Na Bollei Noy: কেষ্ট মণ্ডল কা গুসসা কিঁউ আয়া? TV9 বাংলাকে কিছু না বললেও CBI-কে এড়াতে পারবেন তো?

গম্ভীর গলায় অনুব্রত মণ্ডল বলতেন, খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। সেই খেলা ঘোরাতেই কি খেলতে নেমে পড়ল তৃণমূল?

Na Bollei Noy: কেষ্ট মণ্ডল কা গুসসা কিঁউ আয়া? TV9 বাংলাকে কিছু না বললেও CBI-কে এড়াতে পারবেন তো?
না বললেই নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 5:21 PM

কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) আজ বলে দিয়েছেন, TV9 বাংলাকে বলবেন না। না, একটা কথাও বলবেন না। খুশি? কেষ্ট মণ্ডল কা গুসসা কিঁউ আয়া হ্যায়? TV9 বাংলার উপর রাগ করে, কিছু না বললেও। সিবিআইকে (CBI) এড়াতে পারবেন তো? আজ কমান্ড হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের হেলথ চেক আপের পর, নিজাম প্যালেসে জেরা শুরু হয়। একেবারে নাম ধরে ধরে না কি অনুব্রতকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দারা? তাহলে? অনুব্রত মণ্ডল তদন্তকারীদের কিছু বলবেন তো?

এই দেখুন, বলতেই ভুলে গিয়েছি। আজ আবার রাজ্যের খেলা দিবস। অবশ্য, খেলার ক্যাপ্টেনই তো মাঠের বাইরে। সেই যে শোনেননি, গম্ভীর গলায় অনুব্রত মণ্ডল বলতেন, খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। সেই খেলা ঘোরাতেই কি খেলতে নেমে পড়ল তৃণমূল? আজ জায়গায় জায়গায় মিছিল হল। গলা উঠল। কেষ্টর হয়েই কি পথে তৃণমূল? শাসক দল অবশ্য অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছে। বলছে, বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি, তারই প্রতিবাদ। পার্থর পর কেষ্টকাণ্ডে মুষড়ে পড়ছিল দল। তাই খেলা হবে খেলা হবে করেই কি কর্মীদের একটু তাতিয়ে দেওয়া? নিজামে বসে সব খবরই রাখলেন অনুব্রত। বুঝলেন, খেলা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই খেলায় কি কেষ্টলাভ হবে?

তৃণমূলের একাংশ বলছেন, পদে ভারী হলেও পার্থ নন, জনমানসে বেশি প্রভাবশালী অনুব্রতই। দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও। অনুব্রত গ্রেফতারের পর তুমুল চাপে পড়ে যান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তার ছাপও পড়তে শুরু করে।  তাই দেরি করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রকেই বেছে নেন। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে চুপ করে থাকলেও, অনুব্রত সম্পর্কে বলতে গিয়ে সপাটে ছয় মেরেছেন। পঞ্চায়েত ভোট কাছাকাছি। অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দেওয়া মানে আসলে গ্রাম এলাকার লক্ষ লক্ষ কর্মীকেই বার্তা দেওয়া। বিরোধীরা অবশ্য ঠাট্টা করছেন, বলছেন, তৃণমূলে না কি এখন প্রবীণ বনাম নবীনের খেলা হচ্ছে।

সে যাই হোক। খেলার কথা যখন এতবার হচ্ছে, তখন একটু ফুটবলের কথা হোক। কথা আর কী হবে? রাজনীতি আর ফুটবল, ফুটবল আর রাজনীতি এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল যে ফিফা, আমাদের পা থেকে অন্তত কিছুদিনের জন্য ফুটবলটাই কেড়ে নিল। কী হবে বলুন তো? ফিফাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নির্বাসনের মেয়াদ কি কমানো যাবে? কী প্রভাব পড়বে বাংলার ফুটবলে? এদেশের ফুটবলের মরাগাঙে যে কোনওদিন জোয়ার এনে দিতে সক্ষম, চিরকালীন ক্রাউডপুলার মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান। তাদের কী হবে? এসব নিয়েই আজ অনেক কথা। যে কথাগুলো না বললেই নয়। না বললেই নয়, টিভি নাইন বাংলায়। রাত ৮.৫৭।