Calcutta High Court: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় থানায় ‘হেনস্থা’ দলের নেতাকে, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

TMC MLA: বিধায়কের কাছে তিনি টাকা ফেরত চাইলেও তা মেনেনি। উল্টে তাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Calcutta High Court: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় থানায় 'হেনস্থা' দলের নেতাকে, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 8:56 PM

কলকাতা : রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। শাসক দলের অনেক নেতার নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন মামলায়। আর এবার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন দলেরই নেতা। ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নদিয়ার করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহা রায়ের বিরুদ্ধে। এই মামলার শুনানিতে নদিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধায়ককে এই মামলার অংশ করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

অভিযোগ, করিমপুর-২ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের দলের সভাপতি করে দেওয়া হবে, এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন বিধায়ক। বিনিময়ে পার্টি ফান্ডে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের আশ্বাস পেয়ে সাত লক্ষ টাকা দিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন মামলাকারী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাসান আলি মণ্ডল। কিন্তু পরে দেখা যায় তাঁর নাম ব্লক সভাপতি পদে নির্বাচন করা হয়নি।

এরপরই থানায় অভিযোগ জানান হাসান আলি মণ্ডল। তাঁর দাবি, অভিযোগ না নিয়ে তাঁকে আটকে রেখে হেনস্থা করে পুলিশ। মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান হাসান আলি মণ্ডল। কিন্তু তারপরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই নেতা। এ দিন বিচারপতি জানিয়েছেন, এসপি কে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিধায়ককে মামলায় যুক্ত করার অনুমতিও দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁকে হাতে বা ই মেল করে অথবা স্পিড পোস্টে নোটিস দিতে হবে। অভিযোগকারীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। অভিযোগ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন বিধায়ক।