BSF Jurisdiction: বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
Calcutta High Court: মামলাকারীর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই কেন্দ্র এককভাবে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের এই ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে মনে করছেন মামলাকারী।
কলকাতা : এবার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে,সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার থাকবে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আইনের ১৩৯ ধারার ১ উপধারার কথা বলা হয়েছিল। এই ধারা প্রয়োগ করেই বিএসএফের এই এক্তিয়ার বাড়িয়েছে। আইনের সেই ধারাকেই চ্যালেঞ্জ করেই এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেছে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জনৈক ব্যক্তি। মামলাকারীর দাবি, আইনের এই ধারায় ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস হবে। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতির ঘরে।
মামলাকারীর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই কেন্দ্র এককভাবে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের এই ধরনের একতরফা সিদ্ধান্ত দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে মনে করছেন মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলা দরকার ছিল কেন্দ্রের। সেই নিয়েই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এদিকে কোনওরকম আলোচনা না করেই বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর প্রতিবাদে টানা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই বৈঠকে মুখ্য আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা। সোমবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনটাই বলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার রয়েছে বুধবার। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। বিশেষ করে বিএসএফের ইস্যুটা নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। বিএসএফ তো আর আমার শত্রু নয়। ওরাও বন্ধু আমার। বিজেপি যে ভাবে মনে করছে বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ সেটা তো ঠিক নয়। প্রত্যেক সংগঠনের একটা নিজস্বতা আছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। আবার সিআইএসএফ, বিএসএফ তারাও ক্যাডার। প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষেত্র আছে। কিন্তু সেটা না করে এরা গায়ের জোরে এজেন্সিগুলিকে নিজের পার্টির কাজে লাগাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন: Nagerbazar Road Accident: ঝুপ করে শব্দ, নাগেরবাজার উড়ালপুল থেকে ছিটকে নিচে পড়লেন মহিলা!