Calcutta High Court On Jirat School: নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে ভবন! মঙ্গলবারের মধ্যে স্কুল সরানোর নির্দেশ বিচারপতির

Calcutta High Court On Jirat School: হুগলির জিরাটের ওই স্কুল একেবারে নদীর কাছাকাছি। জল বাড়লে স্কুলে ভাঙন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

Calcutta High Court On Jirat School: নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে ভবন! মঙ্গলবারের মধ্যে স্কুল সরানোর নির্দেশ বিচারপতির
স্কুল সরানোর নির্দেশ বিচারপতির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 5:09 PM

কলকাতা: যে কোনও সময় নদীর গ্রাসে চলে যেতে পারে স্কুল! প্রতিনিয়ত এই আশঙ্কায় ভুগছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলেই অভিযোগ। TV9 বাংলায় এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলায় এবার দ্রুত স্কুল সরানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবারের মধ্যে ওই ভবন থেকে স্কুল সরিয়ে অস্থায়ী জায়গায় নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

একই সঙ্গে নতুন স্কুল বানানোর কাজ যাতে এগোয়, সে কথাও বলেছেন বিচারপতি। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ওই বিল্ডিং-এ স্কুল চলতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে চার চালা তৈরি করে পড়ুয়াদের ক্লাস করানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। এ দিন তিনি স্কুল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নেন। স্কুলে কত জন পড়ুয়া আছেন, কত জন আসে, কতজন শিক্ষক রয়েছেন, এই সব তথ্য নেন তিনি। স্পেশাল অফিসার সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে আগামী শনিবার স্কুল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হুগলির জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চর খয়রামারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়েই এই মামলা।

এ দিন আদালতে হুগলির জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শিল্পা নন্দি জানিয়েছেন, স্কুলে আপাতত তিন জন শিক্ষক রয়েছেন। ভাঙন আটকাতে স্কুলের সামনে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, নতুন বিল্ডিং তৈরি করার জন্য ১১ লক্ষের কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুচন্দ্রা রায় জানিয়েছেন, স্কুলের পাশে অস্থায়ীভাবে ক্লাস করানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। তবে তাঁর দাবি, নদীর পাড়ের দিকে বিল্ডিং-এর যে অংশ রয়েছে, সেখানে ক্লাস করানো হয় না।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ২০১৯ সালেই এই স্কুল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। কিন্তু সেই কাজ এগোয়নি, কারণ অন্যান্য জমি সব নদীর পাড়েই পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেই সিদ্ধান্ত তখন বাতিল করা হয়। পাশাপাশি, তিনি বোঝান, ওই স্কুলের ভবনটি পাকা, তাই ভেঙে যাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁর দাবি, নদী সোজা বয়ে যাচ্ছে, তাই ভাঙার কোনও প্রশ্ন ওঠেনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, বন্যা হলে এলাকার মানুষ নিরাপদ বলে ওই স্কুলে আশ্রয়ও নেন।