Abhishek Banerjee: ‘লাইম লাইটে থাকতেই সভা করছে’, নাছোড়বান্দা বিজেপির ২১-এর সভায় বিরক্ত অভিষেক
21 July: ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এসে শহরের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে পৌঁছে গিয়েছেন। দিনভর ছুটে বেরাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কোনও খামতি রাখছেন না তিনি।
কলকাতা : অবশেষে ২১ জুলাই শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি পেয়েছে বিজেপি। হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য গতকাল থেকে বার বার বিজেপিকে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন, অন্য কোনও দিনে সভা করার জন্য। কিন্তু নাছোড়বান্দা ছিল বিজেপিও। এদিনও বিজেপি এক দফা শুনানির পর শেষ পর্যন্ত রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এই নিয়েই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের সাফ কথা, বিজেপি লাইম লাইটে থাকার জন্যই এইদিনে সভা করছে।
একুশে জুলাই তৃণমূলের কাছে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের দিন। বিশেষ করে গত দুই বছরে ভার্চুয়াল ২১ জুলাইয়ের পর এবার ধর্মতলার সমাবেশ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এসে শহরের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে পৌঁছে গিয়েছেন। দিনভর ছুটে বেরাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কোনও খামতি রাখছেন না তিনি। বুধবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে এসেছিলেন অভিষেক। ততক্ষণে বিজেপির সভার পক্ষে শর্তসাপেক্ষে রায় জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বললেন, “হাইকোর্ট যদি অনুমতি দিয়ে থাকে, সভা হবে। হাইকোর্টের যে রুলিং বা যে পর্যবেক্ষণ থাকবে, তা শিরোধার্য। এ নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই।”
সেই সঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে অভিষেক আরও বলেন, “গতকাল হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণ ছিল, ৩৬৫ দিনের মধ্যে একটি দিনই আপনাদের সভা করতে হবে। ২২ জুলাই করুন, ২০ জুলাই, ১৯ জুলাই করুন, ২৩ জুলাই করুন – তা নয়। আমাকে ২১ তারিখেই করতে হবে। যে করেই হোক এরা লাইম লাইটে থাকতে চায়। এরা মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে কোনওদিন কোনও অভিযোগ করতে দেখবেন না। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা। হেরে গিয়েও শিক্ষা নেই। একুশে জুলাই যে কোনওভাবে লাইম লাইটে থাকার জন্য সভা করছে। হাইকোর্ট যে শর্তগুলি দিয়েছে সেই শর্তগুলি মেনে যাতে সভা হয়, প্রশাসন যেন তা সুনিশ্চিত করে।”