Calcutta High Court: আপিল করতে কেন দেরি? জবাব দিতে হাইকোর্টে হাজির খোদ CBI-এর ডিরেক্টর জেনারেল

Calcutta High Court: বিচারপতির প্রশ্ন, সিবিআই কি প্রিভিলেজড লিটিগেন্ট( বিশেষ মামলাকারী)? সিবিআই-এর এএসজির মতামত জানতে সারা ভারতের এক টেবিল থেকে আর এক টেবিলে কেন যেতে হবে?

Calcutta High Court: আপিল করতে কেন দেরি? জবাব দিতে হাইকোর্টে হাজির খোদ CBI-এর ডিরেক্টর জেনারেল
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 7:34 PM

কলকাতা : সব মামলায় আপিল করতে সিবিআই (CBI) প্রচণ্ড দেরি করছে। অন্তত ৫০০-৯০০ দিন দেরি করছে একটি মামলার ক্ষেত্রে। একজন এএসজি আছেন সিবিআই-এর। তাঁর পরামর্শ পেতে দেরি কেন হবে? এবার সিবিআই-এর মামলার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী (Justice Bibek Chaudhuri) বুধবার একটি মামলায় কেন দেরি, এর উত্তর পেতে খোদ সিবিআই-এর ডিরেক্টর জেনারেলকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। বিচারপতির প্রশ্ন, সিবিআই কি প্রিভিলেজড লিটিগেন্ট( বিশেষ মামলাকারী)? সিবিআই-এর এএসজির মতামত জানতে সারা ভারতের এক টেবিল থেকে আর এক টেবিলে কেন যেতে হবে?

বিচারপতি জানিয়েছেন, “সিবিআইয়ের প্রত্যেক অফিসারের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে, যে সময়ের মধ্যে অর্ডারটি পাস করা হবে এবং তারপর ক্রমানুসারে পরবর্তী অফিসারের কাছে পাঠানো হবে৷ নিঃসন্দেহে সিবিআই-এর অফিসাররা এই নির্দেশিকা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছেন৷” বিচারপতির পরামর্শ, মামলার ক্ষেত্রে সঠিক আপিল থাকবে। যেখানে ট্রায়াল কোর্ট কোনও রায় দিলে, সরাসরি এএসজির পরামর্শ নেওয়া যাবে। দেশের সব প্রান্তে কেন যেতে হবে? আপিল আসতে অন্তত এক বছর সময় লাগছে। যদিও বুধবারের মামলায় সিবিআই জানায় বর্তমান কেসে মাত্র ২৪ দিন দেরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে মামলা হবে কি না জানতে সিবিআই মাত্র এক মাস সময় নিয়েছে। কোনও দেরি হয়নি।

বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মত, আদালতের পরামর্শে বর্তমান আইন সংশোধন করা যেতে পারে। পাশাপাশি সিবিআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার জয়সয়ালকে ভার্চুয়ালি উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান বিচারপতি। উল্লেখ্য, বিচারপতি বিবেক চৌধুরী সিবিআই ম্যানুয়ালে সংশোধনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, যাতে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। বিচারপতি চৌধুরীর প্রস্তাব যাতে, অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে আপিল করা উচিত কিনা সেই প্রসঙ্গে মতামত দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়। সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।