Suvendu Adhikari: স্পিকারের রায় ‘অষ্টম আশ্চর্য’, মুকুল ইস্যুতে আবার আদালতে যাওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: বিধানসভার অধ্যক্ষের রায়ে যে শুভেন্দু অধিকারী সন্তুষ্ট নন, তা ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই বুঝিয়ে দিলেন তিনি। স্পিকারের এই রায়কে 'অষ্টম আশ্চর্য' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Suvendu Adhikari: স্পিকারের রায় 'অষ্টম আশ্চর্য', মুকুল ইস্যুতে আবার আদালতে যাওয়ার বার্তা শুভেন্দুর
মুকুল মামলায় কী বললেন শুভেন্দু?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 6:56 PM

কলকাতা : বুধবার মুকুল মামলার রায় জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে নিজের আগের রায়ই বহাল রেখেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, দলবদল করেননি ফিরহাদ। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। যখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, শুভেন্দু অধিকারী তখন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে জে পি নাড্ডার কর্মসূচিতে ব্যস্ত। ততক্ষণে মামলার রায়ের খবর চলে গিয়েছে তাঁর কাছেও। বিধানসভার অধ্যক্ষের রায়ে যে শুভেন্দু অধিকারী সন্তুষ্ট নন, তা ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই বুঝিয়ে দিলেন তিনি। স্পিকারের এই রায়কে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিল। স্পিকার বলেছিলেন, বিরোধী দলনেতা যে তথ্য প্রমাণ দিয়েছিলেন, সেগুলি পর্যাপ্ত নয়। এটা প্রথমবারের কথা। তারপর আমি হাইকোর্টে গিয়েছিলাম সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলল, বিরোধী দলনেতা যে তথ্য প্রমাণ দিয়েছেন, সেটা ভেরিফায়েড অ্যান্ড ভ্যালিড। এটা তো কোর্টই বলেছে। আদালত স্পিকারের চেয়ারের মর্যাদা রেখে সুযোগ দিয়েছিল। স্পিকার সেটা ব্যবহার করতে পারলেন না। তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্য পালন না করে, তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করলেন। স্পিকার কী বললেন, সেটা আমার কাছে কোনও ফ্যাক্টর নয়। আগামিকালই আমি প্রধান বিচারপতির কাছে যাব।”

উল্লেখ্য, বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রায় দিচ্ছিলেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর তরফে কোনও আইনজীবী সেখানে ছিলেন না। এদিকে স্পিকার জানিয়েছেন, মামলাকারীর জমা করা ইলেকট্রনিক এভিডেন্সগুলির যথার্থতা প্রমাণ করা যায়নি। তাই তিনি আগের রায়ই বহাল রাখছেন। মুকুল মামলা প্রসঙ্গে বুধবার কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “মুকুল বিজেপির প্রতীকে জিতেছেন। বিজেপিতেই আছেন। তৃণমূলের মন অনেক উদার। পুরনো কর্মী জল খেতে চেয়েছেন। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এলে তৃণমূল ভদ্রতা করে। উত্তরীয় সৌজন্য।” প্রয়োজনে যে বিজেপি আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে, এমন সম্ভবনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এবার শুভেন্দু অধিকারীর কথা থেকেও সেই বার্তা আরও স্পষ্ট হল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।