Firhad Hakim: কালীঘাটে কি হকার উচ্ছেদ? মেয়র বললেন…
Firhad Hakim: বুধবার হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন কালীঘাটের হকাররা। তবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁদের জন্য আশ্বাসবাণী দিলেন। জানিয়ে দিলেন, কোনও হকার উচ্ছেদ হবে না।
কলকাতা : হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে বুধবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল কালীঘাটে। বহু বছর ধরে ওই এলাকায় হকাররা বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেন। কেউ বিক্রি করেন সভেনিয়র, কেউ আবার মা কালী ছবি। হকারদের অভিযোগ, কালীঘাটে স্কাইওয়াক ও অন্যান্য কাজের জন্য তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন কালীঘাটের হকাররা। তবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁদের জন্য আশ্বাসবাণী দিলেন। জানিয়ে দিলেন, কোনও হকার উচ্ছেদ হবে না। বুধবার সিরিটি শ্মশানের সম্প্রসারণের কাজ তদারকিতে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তখনই এই অভয়বাণী দেন তিনি।
কালীঘাটের হকারদের বিক্ষোভ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোন উচ্ছেদ হচ্ছে না। যাঁরা হকার ছিলেন, তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফুটপাতের হকারদের একটু সরতে বলা হয়েছে,কারণ পাইলিংয়ের কাজ চলছে। আশেপাশে বহু পুরানো বাড়ি রয়েছে, খুব সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। তার জন্য যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই হিসেবে হকারদের সরিয়ে কাজ চলছে। ছোট খাটো বিক্ষোভ তো হবেই।”
এর পাশাপাশি রাস্তাঘাট খারাপ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যেভাবে কাজ করেছে, তাতে কোনও অসুবিধা হবে না। জল নিকাশের খুব সুন্দর কাজ করেছেন তারক সিং। ভারী বৃষ্টি হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই জল নিকাশি হয়ে যাবে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে, পাইপ চেঞ্জ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পাইপের ডায়ামিটার বাড়ানো হয়েছে। আগের থেকে জল জমা অনেক কমে গিয়েছে। এই বছর বর্ষায় আরও কমে যাবে। ডিজিটালভাবে উন্নতি করা হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। আমরা কন্ট্রোল রুমে বসে দেখতে পাব, কোন জায়গায় কতটা জল জমেছে।”
বুধবার হরিদেবপুর বেহালা সিরিটি শ্মশান সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজ পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং মেয়র পরিষদ (নিকাশি) তারক সিং। ফিরহাদ হাকিম জানান, “সিরিটি শ্মশান সম্প্রসারণের কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশেই হচ্ছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন আগেই বলেছিলেন, এই শ্মশান সম্প্রসারণ করার জন্য। সেই মতোই শ্মশানের পরিবেশ উন্নত করে আরও নতুন দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি এবং প্রতীক্ষালয়ের পাশাপাশি একটি জলাশয় এবং একটি কাঠের চুল্লি তৈরি করা হবে।” উল্লেখ্য, ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রয়াত হওয়ার পর যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শ্মশানে এসেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষের শেষকৃত্যে, তখনই তিনি এই শ্মশান সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।