Recruitment Scam: ৯৫২ জনের ‘কারচুপির গল্প’ শুনে বিচারপতি বললেন, ‘এ তো ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল’

Recruitment Scam: তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে ও অপরটি গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য।

Recruitment Scam: ৯৫২ জনের ‘কারচুপির গল্প’ শুনে বিচারপতি বললেন, ‘এ তো ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল’
টাকা নয়ছয়ের মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 4:47 PM

কলকাতা : কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে এই উত্তর জানা জরুরি। বুধবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে জানানো হয়, নবম-দশমের নিয়োগে ১৮৩ জনের নাম পেয়েছে তারা, যাঁদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল। এই মামলাতেই দ্বিতীয়ার্ধের শুনানিতে এসে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI) জানাল ৯৫২ জনের নাম পেয়েছে তারা, যাদের ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে। সিবিআই এই বক্তব্য পেশ করার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। তারপরই রায় দেবে আদালত। এসএসসি যাদের নাম পেয়েছে, তাদের নাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তবে, সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য জানার পর আপাতত সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এদিন সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, তাঁরা যে ৯৫২ জনের কথা উল্লেখ করেছে, তাঁদের ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে। এদিন আদালতে সিবিআই ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর ওএমআর শিট জমা দেয় সিবিআই। তাঁদের নম্বর বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, যাঁদের আসলে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫ বা ৬, সেটা বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করা হয়েছে।

তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে ও অপরটি গাজিয়াবাদ থেকে। এদিন সংস্থার তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া ডিস্কে স্ক্যান করা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। তাতে আসল প্রাপ্ত নম্বরই দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ স্ক্যান করা পর্যন্ত কোনও সমস্যা থাকত না। সেখান থেকে এক্সেল শিক্ট যেত কমিশনে। এরপরেই নম্বর বদল করে দুর্নীতি হত বলেদাবি সিবিআই-এর। ৯৫২ প্রার্থীর মধ্যে অনেকেই এখন চাকরি করেন বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

এই তথ্য পেশ হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল।’ কবে এই সব জালিয়াতি হয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি। সিবিআই জানিয়েছে, কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা দেখা হচ্ছে। কবে হয়েছে সেই তথ্য নেই। প্রথমার্ধে এই মামলায় এসএসসি জানায় ১৮৩ জনকে বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল।