Cow Smuggling Case: ED-CBI-এর সাঁড়াশি চাপে ‘কেষ্ট’, দিল্লিতে হাজিরা মেয়ের, নিজামে তলব ‘ঘনিষ্ঠ’ মলয় পিটকে
ED-CBI: সিবিআই সূত্রে খবর, মলয় পিটের যে ট্রাস্টটি রয়েছে, সেখানে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। এই টাকা কোনওভাবে গরু পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই দিকটি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা।
কলকাতা: গরুপাচার কাণ্ডের (Cow Smuggling Case) তদন্তে তেড়েফুঁড়ে আসরে নেমেছে ইডি। দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্ট অফিসে বুধবার সকালে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আর এদিকে কলকাতায় সক্রিয় সিবিআই (CBI)। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে বুধবার মলয় পিটকে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরুপাচার মামলায় সাঁড়াশি চাপ তৈরির জন্য প্রস্তুত ইডি-সিবিআই। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে আসানসোল সংশোধনাগারে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও গ্রেফতার হয়েছেন। তিনিও বর্তমানে রয়েছেন দিল্লিতে ইডি হেফাজতে। এমন অবস্থায় তদন্তের গতি বাড়াতে চারিদিক থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, এদিন বেলা ১১ টায় সিবিআই অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর তিনি কলকাতাতেই রয়েছেন। তাঁর এদিন হাজিরা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, মলয় পিটের যে ট্রাস্টটি রয়েছে, সেখানে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। এই টাকা কোনওভাবে গরু পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই দিকটি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা। প্রসঙ্গত, মলয় পিটের পাশাপাশি অতনু মজুমদার নামে বোলপুরের এক প্রোমোটারকেও সিবিআই তলব করেছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, মলয় পিট নামে ওই ব্যবসায়ী শান্তিনিকেতনে একটি মেডিক্যাল কলেজও তৈরি করেছেন। দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান তিনি। এর মধ্যে একটি রয়েছে ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে ওই মেডিক্যাল কলেজটি তৈরি করার জন্য অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন। এমন তথ্যও নাকি ইডির কাছে এসেছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিট নামে এক ব্যক্তির। তার মধ্যে রয়েছে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ। এর পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অব পলিটেকনিক্যাল কলেজও রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে। এমন পরিস্থিতিতে মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নথি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে ইডিও।