CGO Complex Chaos: যুবতীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ‘ED অফিসার’, সিজিও-র সামনে উত্তম-মধ্যম জনতার
CGO Complex: উত্তেজিত জনতার দাবি, এই ব্যক্তি ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয়ে বিয়ে করতে চাইছিল এক যুবতীকে। আগামিকাল বিয়ের দিন। বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে লোকজন নিমন্ত্রণ সবই হয়ে গিয়েছে। মেয়ের পরিবারের দাবি, শেষ মুহূর্তে তাঁরা জানতে পারেন, এই ব্যক্তি ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয় দিয়েছিল।
কলকাতা: মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসের বাইরে জটলা। ভিড় করেন একদল উত্তেজিত জনতা। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন এক ব্যক্তিকে। দড়ি দিয়ে হাত বাঁধা। গলায় ঝুলছে একটা আইকার্ড। সেখানে ইডির লোগো বসানো। উত্তেজিত জনতার দাবি, এই ব্যক্তি ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয়ে বিয়ে করতে চাইছিল এক যুবতীকে। আগামিকাল বিয়ের দিন। বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে লোকজন নিমন্ত্রণ সবই হয়ে গিয়েছে। মেয়ের পরিবারের দাবি, শেষ মুহূর্তে তাঁরা জানতে পারেন, এই ব্যক্তি ভুয়ো ইডি অফিসার পরিচয় দিয়েছিল। আর তাই দড়ি দিয়ে বেঁধে ওই যুবককে তাঁরা নিয়ে এসেছেন ইডির অফিসের সামনে। সিজিও কমপ্লেক্সের গেটের বাইরেই হাত বাঁধা অবস্থায় যুবকের উপর চলল একপ্রস্থ মারধর।
যুবতীর পরিবারের দাবি, ওই যুবক নিজের পরিচয় দেয় প্রদীপ সাহা নামে। সোনারপুরের বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, বিরাটির বাসিন্দা যুবতীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ জমায় এই যুবক। নিজের পরিচয় দেয় একজন ইডির অফিসার হিসেবে। এরপর চেনা-জানা বাড়তেই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রাজি হয়ে গিয়েছিল যুবতীর বাড়ির লোকজনও। এমনকী বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে সব বন্দোবস্তও করা হয়ে যায়। আগামিকালই বিয়ের দিন। আর এদিকে কোনও এক কারণে যুবতীর বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হওয়ায়, তাঁরা ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, প্রদীপ সাহা নামে এই যুবক কোনও ইডি অফিসার নয়।
এরপরই মঙ্গলবার সকালে যুবকে বেঁধে ইডির অফিসের সামনে নিয়ে এসে একপ্রস্থ মারধর করেন তাঁরা। যুবকের গলায় ভুয়ো আইকার্ড ঝোলানো। সেখানে ইডির লোগো দেওয়া রয়েছে বটে। কিন্তু উপরে লেখা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে আসলে ইডি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। এছাড়া যুবকের কাছে আরও একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবকের আবার পরিচয় দেখা যাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল সেলের অফিসার। এভাবেই লোক ঠকানোর কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল যুবক, অভিযোগ যুবতীর পরিবারের।
যদিও যুবকের দাবি, তিনি কিছু করেননি। তাঁকে লোকজন মেরে এখানে নিয়ে এসেছে। ইডির ওই ভুয়ো আইডি কার্ডও জোর করে তাঁর গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে সেখানে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও এগিয়ে আসেন। কী চলছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। এসবের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে যুবককে হাত বাঁধা অবস্থাতেই নিয়ে ইডির অফিসের সামনে থেকে চলে যান পরিবারের লোকেরা। পরে বিকেলে ওই অভিযুক্তকে নিমতা থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন পরিবারের লোকেরা।