১৬ ডিসেম্বর রাজপথ ঢাকবে লাল পতাকায়, লালবাজার অভিযানের ডাক CITU-র
CITU: ১৬ তারিখ দুপুর তিনটের সময় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ডাক দেওয়া হয়েছে জমায়েতের। সেখান থেকে মিছিল যাবে লালবাজারের উদ্দেশে।
কলকাতা: অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করতে হবে, বন্ধ করতে হবে পুলিশি জুলুমবাজি। এই দাবিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর লালবাজার (Lalbazar) অভিযানের ডাক দিল বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু (CITU) সহ একাধিক বামপন্থী (Left) শ্রমিক সংগঠন। পরিবহণ ক্ষেত্র সহ একাধিক সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের স্বার্থে আঘাত হানছে সরকার। চলছে পুলিশি অত্যাচার। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের বড় সভার আয়োজন করে বামেদের শ্রমিক সংগঠন সিটু। অংসগঠিত শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া সহ একাধিক দাবিতে এদিনের সভা থেকে সুর চড়াতে দেখা যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ সিটু নেতা অনাদি সাহুকে। এই সভা থেকেই লালবাজার অভিযানের ডাক দিতে দেখা গেল বাম নেতাদের।
সূত্রের খবর, ১৬ তারিখ দুপুর তিনটের সময় রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ডাক দেওয়া হয়েছে জমায়েতের। সেখান থেকে মিছিল যাবে লালবাজারের উদ্দেশে। এদিনের সভা থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সাফ দাবি, শ্রমজীবী মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না সরকার। এর জন্য সকলে মিলে একযোগে বড় আন্দোলনের প্রস্ততি নিতে হবে। দাবি-দাওয়া, সমস্যার কথা তুলে ধরে পৌঁছাতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। বিমান বলেন, “সিটু সহ যত সংগঠন আছে সবাই মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে যাঁরা এখন শ্রমিকদের সমস্যার কথা শুনতে চাইছেন না তাঁদের শুনতে বাধ্য করতে হবে। বিষয়গুলি সাধারণ নাগরিকদের জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য আরও বৃহত্তর সংগ্রামের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া অংসগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করার বিকল্প কোনও পথ নেই।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ডিএ-র দাবিতে একযোগে বিধানসভা অভিযানে পথে নামে ২৭টি বাম সংগঠন। ধর্মতলা থেকে মিছিল এগোতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। একাদিক প্রবীন সরকারি কর্মীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এক আন্দোলনকারীর ঘাড় ধরে নীচু করে পেটে মুখে গুঁতো মারার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আটক করা হয়ে বহু বিক্ষোভকারীকে।