Calcutta University : সরস্বতী পুজো নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতাহাতি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
Calcutta University : কে সরস্বতী পুজো করবে এই নিয়ে সমস্যা আগে থেকেই চলছিল। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ক্যাম্পাসের ভোগ প্রসাদ, আলপনা ও প্যান্ডেল করার জন্য টেন্ডারের নোটিশ জারি করে কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা : সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2023) করবে কে? এই প্রশ্নেই এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ডোমজুড়ের আজাদ হিন্দ কলেজে। এমনকী প্রতিমা নিয়ে চলে আসার পরেও একপক্ষকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আর এক পক্ষের বিরুদ্ধে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ছুটে আসে পুলিশ। এবার যেন একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University)। সরস্বতী পুজো নিয়ে রাজ্যের স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে হাতাহাতিতে জড়াতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। সূত্রের, যাঁরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্য। তাঁদের সেই ঝামেলার রেশ গিয়ে পড়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও।
সূত্রের খবর, কে সরস্বতী পুজো করবে এই নিয়ে সমস্যা আগে থেকেই চলছিল। এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ক্যাম্পাসের ভোগ প্রসাদ, আলপনা ও প্যান্ডেল করার জন্য টেন্ডারের নোটিশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছিল এই নোটিস। সূত্রের খবর, এদিন সেই টেন্ডারের কাজই চলছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ, টেকনোলজি ক্যাম্পাস সল্টলেক, আলিপুর ক্যাম্পাস, হাজরা ল’ কলেজ ক্যাম্পাস এই পাঁচ ক্যাম্পাসে পুজোর জন্যই এই টেন্ডার। সূত্রের খবর, টিএমসিপির রাজ্যে নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের গোষ্ঠীর তরফে কিছু সংস্থাকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করারনোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। অন্যদিকে টিএমসিপি নেতা মহম্মদ জিশানের দলবলের তরফেও ডাকা হয় কিছু সংস্থাকে। তখন থেকেই চলছিল চাপা উত্তেজনা। এরইমধ্যে কিছু সাধারণ ছাত্রী ক্যাম্পাসে সরস্বতীর প্রতিমা নিয়ে ঢোকেন। ঠাকুর নামাতে যান এক ছাত্রী।
সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে বাধা দেন কিছু পড়ুয়া। দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। খানিক পরেই ঠেলাঠেলি থেকে তা একেবারে গড়ায় হাতাহাতিতে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও চলতে থাকে রাজ্যে নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের গোষ্ঠীর সঙ্গে জিশান গোষ্ঠীর দলবদলের। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে অশান্তির আবহেই সমাধান সূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে দুপক্ষই। জিশান সহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, অভিরূপ চক্রবর্তীর গোষ্ঠীর ছেলেরা এদিন হঠাৎ হামলা চালায়। বেশ কিছুদিন ধরেই বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। এমনকী সরস্বতী পুজোয় যাতে আইডি কার্ড দেখে পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয় এ বিষয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে এদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি কোহিনূর মজুমদার বলেন, “সকলে মিলে পুজো করছে। সেখানে কেউ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য থাকতেই পারেন। তবে পুজোটা সার্বিকভাবে হচ্ছিল। এই পুজোকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে থাকলে তা অনভিপ্রেত। তবে এর সঙ্গে দল, সংগঠন বা রাজনীতিকে মিশিয়ে দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না।”