Mamata Banerjee: ‘রাজভবনে একা আসতে প্রবলেম আছে’, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘টিম’ নিয়ে গেলেন মমতা
Mamata Banerjee: মমতা এদিন বলেন, "আমি যখন এসেছি আমি বলেছিলাম আমার একা আসতে একটু প্রবলেম আছে। তাই আমি টিম নিয়ে আসব। আমরা কিন্তু একসঙ্গে ১০-১২ জন এসেছি। এটা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বলে এসেছি। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকলে ওরা তো থাকবেই থাকে। তখন আসা যেতেই পারে। যাই হোক এর থেকে বেশি আমি কিছু বলব না।"
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজভবনে এলেন ঠিকই। কিন্তু রাজ্যপালের মুখোমুখি হলেন না। এ দিন তিনি প্রোটোকলের উল্টো পথে হেঁটেই থ্রোন রুমে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পাশে বসেনওনি, দাঁড়ানওনি। পরিবর্তে তিনি ভবনের অন্য কোণে গিয়ে তাঁর সহযোগী, কয়েকজন সাংবাদিক এবং রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন।
পরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেই সেই জায়গায় হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। মুখ্যমন্ত্রী তখন রাজ্যপাল এবং তাঁর স্ত্রীর প্রতি সৌজন্য বিনিময় করেন। কিন্তু কথার আদান-প্রদান হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীতের সময়েও প্রথম থেকে যে জায়গায় ছিলেন, সেখানেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সেখান থেকেই রাজভবন ছাড়েন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি একা আসতে চাননি। তাই টিম নিয়ে এসেছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি যখন এসেছি আমি বলেছিলাম আমার একা আসতে একটু প্রবলেম আছে। তাই আমি টিম নিয়ে আসব। আমরা কিন্তু একসঙ্গে ১০-১২ জন এসেছি। এটা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বলে এসেছি। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকলে ওরা তো থাকবেই। তখন আসা যেতেই পারে। যাই হোক এর থেকে বেশি আমি কিছু বলব না।”
রাজভবন সূত্রে খবর, কমিশনার এবং মেয়রকে আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর তা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভও প্রকাশ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি রাজভবনে এক টুকরো খাবার তো দূর, জলও স্পর্শ করেননি। প্রসঙ্গত, রাজভবনে যাওয়া নিয়ে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ওঁর রাজভবনে কেন সবাই যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি ঘটছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।” এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বাক স্বাধীনতা আছে। তিনি মন্তব্য করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, মন্তব্য করার সময় সেটা যেন মানহানির যে সংজ্ঞা আছে বা মানহানি সম্পর্কিত যে আইন আছে তাকে লঙ্ঘন না করে।