Jitendra Tewari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেল রাজ্য
Jitendra Tewari: কয়লাকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: কয়লা পাচার মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ার ওপর সিআইডি তদন্তের ক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রেখেছে। কয়লাকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। মঙ্গলবার সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি পুজোর ছুটির ২ সপ্তাহ পরে সিবিআই-কে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর ছুটি শেষের চার সপ্তাহ পরে ফের শুনানি।
সিঙ্গল বেঞ্চের রায়
প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ কয়লাকাণ্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মামলার তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতেই থাকবে। এখনই এর সিআইডি তদন্তের প্রয়োজন নেই। আপাতত জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত করবে না। জিতেন্দ্রকে সাক্ষী হিসাবে ডেকে পাঠাবার নোটিশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্বস্তি পান বিজেপি নেতা।
মামলার প্রেক্ষাপট
কয়লা পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডেকে পাঠায় সিআইডি। সাক্ষী হিসাবে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারি ভবানী ভবনে হাজিরা দেননি। বরং কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় ১০ই সেপ্টেম্বরের জিতেন্দ্রকে পাঠানো নোটিসের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ
সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে। সিআইডি-কে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে। সিবিআই-এর তদন্তে বাধা দেওয়া হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, নতুন কোন তথ্য পেলে সিবিআই-কে দেবে সিআইডি। রাজ্য সরকার পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়।
ডিভিশন বেঞ্চে বহাল সিঙ্গল বেঞ্চেরই রায়
ডিভিশন বেঞ্চেও সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রাখা হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ও ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই মামলায় সমান্তরাল তদন্তের যথার্থতা নেই। বরং সিআইডি-র ক্ষেত্রে এই মামলা সংক্রান্ত নতুন কোন তথ্য থাকলে, তা সিবিআই-কে দিতে হবে। সিবিআইকে পুজোর ছুটির ২ সপ্তাহ পরে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।