বিধানসভায় মনোজের মুখোমুখি মনোজ, কংগ্রেসী প্রাক্তনের পরামর্শ নিলেন বিজেপির বর্তমান মুখ্য সচেতক
বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় কাজকর্ম মেটাতে বিধানসভায় এসেছিলেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। আর এসেই পুরোনো ঘরে।
প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: এক মনোজের চেয়ারে আরেক মনোজ। এক মনোজের কাছে আরেক মনোজের পরামর্শ গ্রহণ। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দেখা গেল এমনই এক চিত্র। বিধানসভার বিরোধী দলের সচেতক হয়েছেন মনোজ টিগ্গা। আর সেই পদে থেকেই ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ষোড়শ বিধানসভায় দায়িত্ব সামলেছেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। বহরমপুরে আসনে ২০২১ সালের বঙ্গযুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জিততে পারেননি অধীর ঘনিষ্ঠ। আর মাদারিহাট থেকে দ্বিতীয়বার জিতে এসে সপ্তদশ বিধানসভার সচেতক হয়েছেন মনোজ টিগ্গা।
বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় কাজকর্ম মেটাতে বিধানসভায় এসেছিলেন কংগ্রেসের মনোজ। আর এসেই পুরানো ঘরে। যেখানে বসে পাঁচ বছর বিরোধী দলের কোন বিধায়ক অধিবেশনে কত সময় বক্তব্য পেশ করবেন, কোন বিষয়ে কাকে দিয়ে বক্তৃতা করালে সরকারকে প্যাঁচে ফেলা যাবে— সে সব নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। বিরোধীদের জন্য নির্ধারিত ঘরের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে হয় সচেতকের ঘরে। সেখানে এসে এদিন বিজেপির মনোজের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রসের মনোজ। করেন সৌজন্য বিনিময়ও। আর দুই রাজনীতিকের কথা তো শুধু সৌজন্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাই বিধানসভা পরিচালনা নিয়েও ‘সিনিয়রের’ থেকে বুঝে নিলেন ‘জুনিয়র’।
আরও পড়ুন: সকাল থেকে বৃষ্টি ধরেছে! ওরা স্বামীর দেহ নিয়ে এল বলে! ঠায় দাওয়ায় বসে অপর্ণা
মনোজ চক্রবর্তী এদিন বললেন, “গণতান্ত্রিক পথে পরিষদীয় রীতি নীতি মেনে কাজ করতে হবে। সরকার পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। তবে সরকারের সমালোচনার জায়গায় কী ভাবে কোন বক্তা বিধানসভায় আক্রমণ শানাতে পারবেন, তা-ও দেখে নিতে হবে।” তা শুনে মনোজ টিগ্গার প্রতিক্রিয়া, “নিয়ম মেনেই তো কাজ করতে হবে।”
হৈচৈ করে কাজ করতে পছন্দ করেন কংগ্রেসের মনোজ। আর ঠিক উল্টো পথেই হাঁটেন বিজেপির মনোজ। একবারে নিঃশব্দেই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চেয়ার এক। দায়িত্ব এক। ব্যক্তি ভিন্ন। আর তাই নিজের কাজে স্বাক্ষর রাখতে ভিন্ন পথেই হাঁটতে চান মনোজ।