Adhir Chowdhury on Bangla Dibas: ‘বিজেপির জালে পা দেবো কেন?’, বাংলা দিবস নিয়ে খোঁচা অধীরের
Bangla Dibas: এদিন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধ উঠে এসেছে এই দিনকে ঘিরে। শুভেন্দুর বক্তব্য, ২০ জুনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ২০ জুনের বঙ্গভাগের স্মৃতি বাঙালিকে পীড়া দেয়। এটা 'বিধ্বংসী দিন'।
কলকাতা: পয়লা বৈশাখই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে বলে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হল বৃহস্পতিবার। যদিও আলাদা করে এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, এসব বিজেপির পাতা ফাঁদ। তাতে শাসকদলের পা দেওয়ার কোনও কারণই নেই বলে মত অধীরের। অধীর চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ দিবস হবে না বাংলা দিবস হবে তাই নিয়ে এক অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিতে আমি একটা দিবস ঘোষণা করব। বিজেপি একটা দিবস ঘোষণা করবে। তারমধ্যে কেন যাব আমরা? বিজেপি কতগুলো জাল তৈরি করছে। আমরা সেই জালের মধ্যে পা দেবো কেন? পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গই আছে। স্বাধীনতার সময় ভাগ হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন দিবস কী করব?”
একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ‘সেকেন্ড’ হওয়ার পর পরই ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালনের কথা জানায়। প্রথম দু’বছর প্ল্যাকার্ড হাতে এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করলেও এবার একেবারে চমকে দেওয়া উদযাপন হয় দিনটিতে। রাষ্ট্রপতি টুইটারে (বর্তমানে X) বঙ্গবাসী এর জন্য শুভেচ্ছাও জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজভবনেও এই দিনটি নিয়ে বার্তা আসে।
তাতেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল। কোনওভাবেই ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে মান্যতা দিতে নারাজ তারা। এরপরই একাধিক বৈঠক, কমিটি গঠন, বিধানসভায় আলোচনা এবং অবশেষে এদিন প্রস্তাব পাশ করে সিদ্ধান্ত হয় পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। ‘বাংলা সঙ্গীত’ হবে রবিঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।
এদিন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধ উঠে এসেছে এই দিনকে ঘিরে। শুভেন্দুর বক্তব্য, ২০ জুনই পশ্চিমবঙ্গ দিবস থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলেন, ২০ জুনের বঙ্গভাগের স্মৃতি বাঙালিকে পীড়া দেয়। এটা ‘বিধ্বংসী দিন’। তাতে মান্যতা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
তবে অধীর চৌধুরী এদিন প্রশ্ন তুলেছেন, হঠাৎ এমন দিনের প্রয়োজনীয়তা পড়ছে এ রাজ্যের সরকারের? অধিবেশনকক্ষেই অবশ্য এর জবাব দিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, “অনেকে বলেছেন, ১২ বছর ক্ষমতায়, কেন এতদিন করেননি? বলব, হ্যাঁ বন্ধু এতদিন করা হয়নি কারণ এতদিন ২০ জুন দিবসটাও পালন করা হয়নি। কেউ করেনি। কেউ জানত না। সরকারি নোটিফিকেশনে ছিল না। আজ ৪৭ বছরের পর ৭৫ বছর স্বাধীনতা দিবস আমরা উদযাপন করেছি, কেউ কোনওদিনও শুনিনি ২০ জুন বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হয়েছে। এই বছরই করেছে। এ বছর ভারত সরকার এই নোটিফিকেশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করি।”