Karar Oi Louho Kopat: চিত্তরঞ্জন দাশ জেলে, নজরুল লিখলেন ‘কারার ওই লৌহ কপাট’, ঘুম ছুটে গেল ইংরেজদের

Pippa Movie: কারার ওই লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট... গানটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল। কুমিল্লা থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পর কাজি নজরুল ইসলাম গানটি লিখেছিলেন। 'ভাঙার গান - কারার ওই লৌহ কপাট'।

Karar Oi Louho Kopat: চিত্তরঞ্জন দাশ জেলে, নজরুল লিখলেন 'কারার ওই লৌহ কপাট', ঘুম ছুটে গেল ইংরেজদের
'কারার ওই লৌহ কপাট' গানটি কেন লিখেছিলেন কাজি নজরুল?Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 5:31 PM

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ‘পিপ্পা’ শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ওটিটি প্লাটফর্মে। সেখানে কাজি নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। গানের সুর পুরো পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি ঘিরে আম বাঙালির মনে আলাদা আবেগ রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, নজরুল-গীতির সুর পাল্টে কাটা-ছেঁড়া করায় বাঙালির নজরুল-ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।

কারার ওই লৌহ কপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট… গানটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল। কুমিল্লা থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পর কাজি নজরুল ইসলাম গানটি লিখেছিলেন। ‘ভাঙার গান – কারার ওই লৌহ কপাট’। তখন ১৯২১ সাল। চারিদিকে তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের, বিদ্রোহের আগুন। বিদ্রোহকে স্তিমিত করতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে তখন জেলে আটকে রেখেছিল ব্রিটিশরা। সেই সময়েই রক্ত গরম করা এই গানটি লিখেছিলেন কাজি নজরুল ইসলাম।

মুজফ্ফর আহমেদের লেখা ‘কাজি নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা’ সেই সময়কার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। এই ‘ভাঙার গান’ কীভাবে সৃষ্টি হল নজরুলের হাতে, তা নিজের চোখের সামনে দেখেছেন তিনি। মুজফ্ফর আহমেদের সেই স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, তখন চিত্তরঞ্জন দাশ জেলবন্দি। সেই সময় ‘বাংলার কথা’র জন্য দাশ-পরিবারের এক সদস্য একটি কবিতা চাইতে এসেছিলেন নজরুলের কাছে। সেই অনুরোধ পেয়েই নজরুল ইসলাম সঙ্গে সঙ্গে লিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। মুজফ্ফর আহমেদ ও দাশ-পরিবারের ওই সদস্য তখন সামনেই বসে ছিলেন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সেই ‘ভাঙার গান’ লিখে তাঁদের শুনিয়েছিলেন নজরুল। পরবর্তীতে ‘বাংলার কথা’য় সেটি ছাপাও হয়েছিল।

আরও পরে ১৯২৪ সালে কাজি নজরুল ইসলামের ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রথমেই ছিল ‘কারার ওই লৌহ কপাট’। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কবিতাও ছিল সেখানে। ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থের ছত্রে ছত্রে ছিল বিদ্রোহের সুর। স্বাধীনতা আন্দোলনের ঝাঁঝকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল এই কাব্যগ্রন্থ। বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ব্রিটিশরা সেই কাব্যগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘ভাঙার গান’। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে এই ভাঙার গানের নতুন করে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।