Kunal Ghosh: আত্মহত্যার মামলায় কুণাল বনাম রাজ্য সংঘাত! সত্যিই কী দোষী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ? রায় শুক্রবার

Kunal Ghosh: আদৌও কী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল? আত্মহত্যার মামলায় কী দোষী সাব্যস্ত হবেন? বৃহস্পতিবারই রায় দেবে আদালত।

Kunal Ghosh: আত্মহত্যার মামলায় কুণাল বনাম রাজ্য সংঘাত! সত্যিই কী দোষী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ? রায় শুক্রবার
ছবি - নজর আদালতের রায়ে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2022 | 9:05 PM

কলকাতা: বছর আটেক আগে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) বন্দি থাকার সময় আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের (Trinamool MP Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় নাম জড়ানোর পর ঘুমের ওষুধ খেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুণাল। যে কারণে, ২০১৪  সালের ১৩ নভেম্বর গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আত্মহত্যার অভিযোগ উঠলেও তা নিয়ে বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। বর্তমানে সেই মামলার শুনানি নিয়েই ফের নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

এদিকে যে সময় ‘বিদ্রোহী’ কুণাল জেলবন্দি ছিলেন তখনও অবশ্য তিনি তৃণমূল সাংসদই ছিলেন। কিন্তু দলের সঙ্গে সম্পর্কটা একদমই ভালো ছিল না। এমনকী কুণালের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে চাপ বেড়েছিল শাসক শিবিরের উপরেও। যদিও, বর্তমানে বদলেছে দলের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন। এদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যাকে আইনত অপরাধ হিসাবেই দেখা হয়। এমনকী কেউ আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা বলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হতে পারে। দোষী প্রমাণিত হলে, ২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই ধারা নিয়ে বিতর্ক আছে। লোকসভা এটির অবলুপ্তির পক্ষে রায় দিলেও এখনও আইন জারি রয়েছে। 

এই জটেই ফেঁসে আছেন কুণাল। সহজ কথায় মামলা বর্তমানে যে দিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে আজকের কুণাল না চাইলে তা ক্রমেই রাজ্য বনাম কুণাল সংঘাতের দিকে যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের। এদিকে বর্তমানে এই মামলার সওয়াল জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিচারককে বলেছেন, পুলিশ আত্মহত্যার চেষ্টা প্রমাণ করতে পেরেছে। কোর্ট এবার রায় দিক। কিন্তু, কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাছাড়া আত্মহত্যার চেষ্টায় শাস্তি অমানবিক। এদিকে যে সময় এ ঘটনা ঘটে তখন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, কুণালের হাতে কোনও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে যতটা ওষুধ ওনাকে দেওয়ার কথা ছিল ততটাই দেওয়া হয়েছিল। তবে ফরেন্সিক পরীক্ষায়  কুণালের পেটে একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধের চিহ্ন মেলে। এমতাবস্থায় এবার শুক্রবারের শুনানিতে কী রায় দেয় আদালত সেটাই দেখার।