COVID Variant: ওমিক্রন নাকি ডেল্টা পজিটিভ? নিশ্চিত হতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞ কমিটির

COVID Genome Sequencing: প্রশ্ন উঠছে, এত সংখ্যক জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরিকাঠামো কোথায়?স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।

COVID Variant: ওমিক্রন নাকি ডেল্টা পজিটিভ? নিশ্চিত হতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞ কমিটির
প্রতীকী ছবি, (সৌজন্যে : PTI)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2022 | 2:38 PM

কলকাতা: সরকারি হাসপাতালে কোভিডে চিকিৎসাধীন রোগীরা ওমিক্রন নাকি ডেল্টা পজিটিভ তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রস্তাব। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে প্রস্তাব কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির। স্ট্রেন সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে এই প্রস্তাব। প্রশ্ন উঠছে, এত সংখ্যক জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরিকাঠামো কোথায়?স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।

ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে স্যাম্পেলগুলো পাঠানো হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে এরাজ্যে মাত্র ১৪টি নমুনা এসেছে। অন্তত রিপোর্ট সেই কথাই বলছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এত কম পরিমাণ নমুনা কেন?

চিকিৎসকদের মতে, জিনোম সিকোয়েন্সিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ওমিক্রন না ডেল্টা কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী, তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলায় বিশেষত ১০ শতাংশ ডেল্টা রয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলছেন, আরও বেশি করে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের মধ্যে স্ট্রেন কী রয়েছে? কারণ ডেল্টা যদি হয়, তার চিকিৎসা পদ্ধতি প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের মতো হবে। ওমিক্রন হলে সেভাবে চিকিৎসা হবে আলাদা।

কিন্তু যত পরিমাণ নমুনা রিপোর্ট এখনও বকেয়া, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মুহূর্তে এই বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সকে সক্রিয় হওয়া উচিত। কেন এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, মৃত্যু রোধে কোভিড প্রোটোকলে বদলের সম্ভাবনাও রয়েছে। এখন থেকে করোনা আক্রান্ত কো-মর্বিড রোগীদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসার পথে হাঁটতে পারে রাজ্য। করোনা হলেও কিডনির রোগীর চিকিৎসা হবে নেফ্রোলজি বিভাগে। হৃদরোগ, ইউরোলজি বা লিভারের সমস্যায় ভোগা রোগীর করোনা ধরা পড়লে আর তাঁকে পত্রপাঠ কোভিড ইউনিটে স্থানান্তর না করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পথে হাঁটতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন।

আরও পড়ুন: TMC Candidate List: চূড়ান্ত ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা, সুপ্রিমোর সবুজ সঙ্কেত মিলতেই দু’দিনের মধ্যে প্রকাশ

আরও পড়ুন: Municipality Election 2022: ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮ পুরসভার ভোট, বিজ্ঞপ্তি জারি নির্বাচন কমিশনের