CPIM West Bengal: আলিমুদ্দিনের নতুন স্ট্র্যাটেজি ‘দুয়ারে নেতা’, ত্রিপল-চাটাই নিয়ে আপনার কাছে পৌঁছে যাবেন নেতারা

CPIM West Bengal: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের হাল ফেরাতে হবে, এটাই এখন বামেদের মূল মন্ত্র। তাই নতুন রণকৌশল নিচ্ছে তারা।

CPIM West Bengal: আলিমুদ্দিনের নতুন স্ট্র্যাটেজি 'দুয়ারে নেতা', ত্রিপল-চাটাই নিয়ে আপনার কাছে পৌঁছে যাবেন নেতারা
বাম নেতাদের নতুন রণকৌশল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 1:25 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: ‘দুয়ারে’ নেতা! হ্যাঁ, দলকে শক্তিশালী করতে তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। সাধারণ ভাবে দেখা যায়, রাজ্য স্তরের নেতা বা জেলার বড় নেতারা সংশ্লিষ্ট জেলা সদরে যান বা কোনও এলাকায় বিশেষ কোনও সভায় অংশ নিয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু এবার থেকে শুধু তা করলেই আর হবে না। মানুষের ‘দুয়ারে’ যেতে হবে। সেই নির্দেশ রাজ্য এবং জেলা স্তরে পৌঁছেছে দিয়েছেন ৩১ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

মানুষের দুয়ারে বলতে কী বোঝাচ্ছেন সিপিআইএম নেতারা? তাঁদের মতে, পাড়া বা গ্রামে গিয়ে বৈঠক করতে হবে বড় নেতাদের। শুধু বড় সভা বা টেবিল চেয়ার রাখা পথসভা করে দায়িত্ব সারলেই হবে না। একেবারে মাদুর বা ত্রিপল অথবা চাটাই পেতে বসতে হবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আম নাগরিককে তাঁর সমস্যা শুনে সমাধানের ভরসা দিতে হবে।

সিপিআইএমের অনেকের মতে, যাঁরা রাজ্য বা জেলা স্তরের পরিচিত মুখ, তাঁরা একবারে পাড়া বা গ্রামের বৈঠকে অংশ নিলে মানুষের বিশ্বাস বাড়বে। কর্মীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন। লাল পতাকার প্রতি হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস ফেরাতে পারলে তার প্রভাব ভোটেও পড়বে বলে মনে করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। তবে, ভোটের থেকে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভঙ্গুরতা গ্রাস করা দলের সংগঠনের হাল ফেরানো।

ইতিমধ্যে কলকাতায় পাড়া বৈঠক শুরু হয়েছে। জেলা বা রাজ্য স্তরের প্রথম সারির নেতারা তাতে অংশ নিয়েছেন। বালিগঞ্জ ভোটেও তার সুফল মিলেছে বলে দাবি সিপিআইএম নেতাদের কারও কারও।

রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ক্রমেই শক্তি খুইয়েছে সিপিআইএম। সে ক্ষেত্রে নানা কারণ উঠে এলেও সময়ের সঙ্গে ভোট রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে এক টানা ৩৪ বছর ক্ষমতার মসনদে থাকা কাস্তে-হাতুড়ি-তারা প্রতীকের দল। অথচ, একদা শাখাগুলোর অভ‍্যন্তরে থাকা পাড়া বা গ্রাম কমিটির ওপর নির্ভর করে নীচু তলায় দাপট দেখাত সিপিআইএম। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। দলকে এখনই থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোণঠাসা তৃণমূল। তাই বিরোধীদের অপ্রস্তুত থাকার সুযোগে আগেভাগেই ভোট ঘোষণা করে দিতে পারে রাজ্য সরকার। সে কথা এখন বিভিন্ন সভা বা দলীয় বৈঠকে নিয়ম করে বলছেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাই পাড়া বা গ্রাম বৈঠকে দলের একবারে পরিচিত মুখদের ব্যবহারের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের সম্পর্ক আছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।