Gariahat Death Case: বিছানা থেকে ঝুলছে দেহ, শরীরে নেই কোনও পোশাক, গড়িয়াহাটের গেস্ট হাউসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা
Gariahat Death Case: এক বছর ধরে ওই গেস্ট হাউসেই থাকতেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে।
কলকাতা: ফের রহস্যমৃত্যু কলকাতায়। শহরের একটি গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির নগ্ন মৃতদেহ। সোমবার সকাল থেকে ওই ব্যক্তির কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর গেস্ট হাউসের কর্মীর তৎপরতায় উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের নাম পৃথ্বীশ কুমার গায়েন। তিনি স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের আধিকারিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। মাস খানেক আগে অবসর নেন। কলকাতার রাজডাঙায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা থাকেন। তবে, তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না পৃথ্বীশ কুমার গায়েন।
সৌরেন্দ্র বিক্রম মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি এ দিন গড়িয়াহাট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গড়িয়াহাটের ডোভার লেনে তাঁদের বাড়িতে একটি গেস্ট হাউস চলে। ওই বাড়ির তিনটি তলা জুড়ে রয়েছে ডোভার গেস্ট হাউস। সেখানেই দ্বিতীয় তলায় থাকতেন ওই ব্যক্তি। তিনি তমলুকের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে, রাজডাঙায় থাকেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধারে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের দেহে কোনও পোশাক ছিল না। তাঁর অর্ধেক দেহ ছিল মাটিতে আর বাকিটা বিছানায়।
১৪ নম্বর ঘরে থাকতেন ওই ব্যক্তি। এক বছর ধরে ওখানে থাকতেন তিনি। ১-২ দিনের জন্য কোথাও যেতেন, আবার চলে আসতেন। এ দিন সকাল থেকে ব্রেকফাস্ত চাননি তিনি। তাই গেস্ট হাউসের এক কর্মী তাঁর দরজায় গিয়ে ধাক্কা মারতে থাকেন। সাড়া না পেয়ে বাথরুমের পাশের প্য়াসেজ দিয়ে ওই ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। আর সেখানে দেখেন ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে। ভিতর থেকে বন্ধ করা দরজাও খুলে দেন তিনি।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলে থাকেন। স্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম থেকে মদ খাওয়াক অভ্য়াস ছিল ওই ব্যক্তির। সেই কারণে বেশ কিছুদিন রিহ্যাবেও থেকেছিলেন তিনি। রিহ্যাব থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ২০২০ সালে বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এরপর ২০২১-এর জুন মাসে আবার মদ খেতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। তখনই তাঁর ২৬ বছরের ছেলে প্রতিবাদ জানান। ছেলের সঙ্গে ঝামেলার পর থেকেই বাড়ি ছেড়ে গেস্ট হাউসে থাকতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। ঘরের ভিতর থেকে প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।