Durga Puja in West Bengal: বাণিজ্যে দুর্গা সহায়, রাজ্যজুড়ে পুজোয় কত টাকার ব্যবসা হয় জানেন?
Durga Puja in West Bengal: সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ বছর পুজোয় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। সূত্রের খবর, অন্তত তিন থেকে চার লক্ষ মানুষ এই পুজো উপলক্ষে বাড়তি আয় করে থাকেন। ই-কমার্সের যুগে শুধু ডেলিভারি বয়ই লাগে কয়েক হাজার।
কলকাতা: শারদোৎসব আসলে মিলনোৎসব। দেদার খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, দীর্ঘ অপেক্ষার পর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে সময় কাটানো, নতুন জামা পরে ঠাকুর দেখা, নতুন চোখের হাতছানিতে সাড়া দেওয়া, নতুন প্রেম এসবের জন্যই তো আপামর বাঙালি একটা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে। তাই প্রতিবারের মতো এবারের পুজোতেই তুমুল উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়েছে গোটা বাংলাতেই। কিন্তু পুজো ঘিরে শুধুই কি আনন্দ? অর্থীনীতিবিদরা বলছেন, বাংলায় লক্ষ্মীলাভের বড় দরজাও কিন্তু খুলে যায় এই দুর্গাপুজোতেই। কর্পোরেট হাউস তো বটেই, অন্যান্য মাঝারি বা ছোটখাটো দেশীয় সংস্থা মিলিয়ে রাজ্যে পুজোর পিছনে বিনিয়োগ অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা।
সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ বছর পুজোয় ব্যবসা হতে পারে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার। সূত্রের খবর, অন্তত তিন থেকে চার লক্ষ মানুষ এই পুজো উপলক্ষে বাড়তি আয় করে থাকেন। ই-কমার্সের যুগে শুধু ডেলিভারি বয়ই লাগে কয়েক হাজার। প্রতিবছরই পুজো উপলক্ষে খরচ বাড়ছে। ২০১৯ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল বলেছিল, পুজোয় খরচ হয়েছে ৩২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। যা রাজ্যের জিডিপির ২.৬ শতাংশ। পুজোয় বাংলায় আগত দেশের পর্যটক ধরলে সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ই-কমার্সে গত বছরের তুলনায় ১২.১৫ শতাংশ বেশি বিনিয়োগের পূর্বাভাস রয়েছে। অর্থনীতিবিদ অনির্বাণ দত্ত বলছেন, “দুর্গাপুজোর বহরটা যেভাবে আজকের দিনে বেড়ে গিয়েছে আমি তাকে স্বাগত জানাই। মহালয়া থেকেই মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। মানুষ রাস্তায় নামলেই খরচ করছেন। সেই খরচ যত বাড়বে চুঁইয়ে পড়া অর্থনীতির হাত ধরে সেটা সব স্তরে পৌঁছে যাবে। সবথেকে বেশি লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক শ্রেণির মানুষেরা।”