একুশের ‘হোমওয়ার্ক’ কদ্দুর, পরখ করতে শহরে কড়া ‘হেড স্যর’ সুদীপ জৈন
মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০তে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন। আগামী দু'দিন দফায় দফায় একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে
কলকাতা: আগেরবার এসে বেশ কিছু ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়ে গিয়েছিলেন। তা কত দূর কী হল সেটাই খতিয়ে দেখতে ফের আসছেন ‘কড়া হেড স্যর’ সুদীপ জৈন (Sudip Jain)। ভোটমুখী বাংলায় এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পা রেখেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার (Deputy Election Commissioner)। তিনিই এ রাজ্যে কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা। মঙ্গলবার রাত ৮টা ০৫-এ তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন। আগামী দু’দিন দফায় দফায় একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে। ১৪ জানুযারি তিনি ফিরে যাওয়ার পর এ মাসেই কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসতে পারে।
আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ম্যারাথন বৈঠক করবেন সুদীপ জৈন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে অংশ নেবেন প্রত্যেক জেলার জেলা নির্বাচন অফিসার তথা জেলাশাসক। এ বাদেও প্রত্যেক জেলার সংশ্লিষ্ট পুলিস সুপার ও কমিশনারদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। দুই দফায় এই বৈঠক হবে। প্রথম দফায় মূলত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হবে। দ্বিতীয় দফায় কথা হবে ভোট প্রস্তুতির খুঁটিনাটি নিয়ে।
পরদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কোভিড নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সেখানে থাকার কথা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য সচিবের। তারপরে ১২টায় বৈঠক হবে খরচের খতিয়ান নিয়ে। সেখানে থাকবেন রেল, আয়কর ও শুল্ক বিভাগের কর্তারা। থাকবেন এ রাজ্যের ইবির কর্তাও, যিনি নোডাল অফিসার। ওইদিন বিকেলেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা সুদীপের। তাঁর সঙ্গে সফরে আসছেন কমিশন সচিব রাকেশ কুমার, আন্ডার সেক্রেটারি অমিত কুমার ও আইটি ডিরেক্টর কমল আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: লোকসভার থেকেও বেশি বাহিনী বিধানসভা ভোটে, স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের
গত ১৬ ডিসেম্বরও রাজ্যে এসেছিলেন সুদীপ জৈন। সে সময় রাজ্যে পুলিসকে বেশ কিছু ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দেওয়া নির্দেশগুলি পালনের ক্ষেত্রে কোন থানা কেমন পারফর্মেন্স করছে, তার একটি বিশদ নোট রাখার জন্য বলেছিলেন প্রত্যেক জেলার এসপি বা কমিশনারদের। এই তথ্য নথিভুক্ত করা থাকলে পরবর্তীতে কমিশনের কাজ করতে সুবিধা হবে, এমন যুক্তি দেখিয়েই এই টাস্ক দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ডেপুটি কমিশনারের এই নির্দেশের পরই কিছু থানাকে হঠাৎ অতিসক্রিয় হতে উঠতে দেখা যায় অপরাধ দমন ও গ্রেফতারির ক্ষেত্রে। যা নিয়ে কিছুটা উষ্মাপ্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল খোদ কলকাতা পুলিসের কমিশনারকেও।
আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি ‘অনুপ্রবেশ’! শীর্ষ আদালতে দাবি কেন্দ্রের