Dilip Ghosh: ‘ব্যক্তিগত রেষারেষি ও ভুল পলিসির জন্য হাজার-হাজার কর্মীর আত্মত্যাগ বিফলে গেলে…’
Dilip Ghosh: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমি যেটুকু রাজনীতি বুঝি, দেশে বহুবার এরকম উত্থান পতন হয়েছে। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিজেপি ২ টো সিট পেয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো লোককে খারাপ ভাবে হারতে হয়েছিল। বাজপেয়ী সরকার চলে যাওয়ার আগে মমতার মাত্র ৮ টা সিট ছিল। উনি বাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।"
কলকাতা: বাংলার জন্য টার্গেট দেওয়া ছিল ৩০। তা হয়নি। দেশের ক্ষেত্রে টার্গেট ছিল বিজেপি একাই ৩৫০ পার করার। তবে রথ থেমেছে ২৪০-এ। হারতে হয়েছে স্মৃতি ইরানির মতো প্রার্থী। আর এ রাজ্যে দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিকদের। কেন এই ধরাশায়ী রেজাল্ট? বাংলার ক্ষেত্রে কি সন্দেশখালি ইস্যু কোনও ফ্যাক্টরই করল না?
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি যেটুকু রাজনীতি বুঝি, দেশে বহুবার এরকম উত্থান পতন হয়েছে। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিজেপি ২ টো সিট পেয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো লোককে খারাপ ভাবে হারতে হয়েছিল। বাজপেয়ী সরকার চলে যাওয়ার আগে মমতা মাত্র ৮টি আসন পেয়েছিলেন। সেই আসন বাড়িয়ে উনি বাড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।” একই সঙ্গে দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমার কর্মী যাঁরা, তাঁদের এই উত্থান-পতনকে সঙ্গী করেই এগোতে হবে।” দলের কারোর নাম না করে মুখ খোলেনও বিজেপি নেতা। বলেন, “ব্যক্তিগত রেষারেষির এবং ভুল পলিসির জন্য এইভাবে হাজার হাজার কর্মীর আত্মত্যাগ বিফলে চলে গেলে পরবর্তীকালে তাঁদের দলের কাজে লাগানো মুশকিল হয়ে যাবে। মানুষের দলের ওপর আস্থা চলে যাবে।”
কিন্তু সন্দেশখালিতে এত আন্দোলনের পরও বসিরহাটে কীভাবে এই ফল? উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আন্দোলনটা রাজনৈতিক ছিল না। সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছিল। পরে এটাকে বিজেপি নিজের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। আমরা তাদের ন্যায় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গতকালও অত্যাচার হয়েছে। এরপর ওই মহিলারা ওখানে আর থাকতে পারবেন কি না জানি না। এই আন্দোলন সারা দেশে নজির গড়েছিল।” বিজেপি নেতা এও বলেন, “ওটা আমাদের পুরোনো গড়। ঘোরতর তৃণমূল জমানাতেও আমরা ওখানে ভাল ভোট পেতাম। আরও ভাল রেজাল্ট হবে ভেবেছিলাম। হয়নি।”
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি বরাবরই চর্চায় ছিল। নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রশ্ন উঠছিল কে ঘোরাবে খেলা? একদিকে যখন বিজেপি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে দুষে পথে আন্দোলনে নেমেছিল। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গিয়েছেন একাধিকবার। সেই সময় আবার সন্দেশখালির একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করে পাশা পাল্টে দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও তাকিয়ে ছিলেন কার দিকে পাল্লা ভারী হবে সন্দেশখালির। কার হাতে যাবে বসিরহাটের ক্ষমতা। ভোটের ফলে দেখা গেল সন্দেশখালি বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী ভাল ফল করলেও বসিরহাট লোকসভা কিন্তু কব্জায় নিলেন তৃণমূলের হাজি নুরুল।