অভিষেকের বিরুদ্ধে করা মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিলীপের
তৃণমূলের একাধিক নেতা ও ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রেক্ষিতে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ও ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রেক্ষিতে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মামলাগুলিতে প্রাথমিক শুনানির জন্য একাধিক সাক্ষী নিয়ে সোমবার আদালতে হাজির হন তিনি। মোট চারটি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনও ধার্য করেনি আদালত।
যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৯ নভেম্বর বজবজে একটি সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বিশেষণ ব্যবহার করে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন। যার মধ্যে ‘গুন্ডা-মাফিয়া’ কথাটিও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ঠিক এই জায়গাতেই আপত্তি বিজেপি নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে এহেন শব্দপ্রয়োগ করার কারণে আগেই আইনি নোটিস দিয়েছিলেন দিলীপ। যেখানে বলা হয়েছিল, ভুল স্বীকার করা ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষমা চাননি যুব তৃণমূল সভাপতি। যার পরিপ্রক্ষিতে গত ২১ ডিসেম্বর ফৌজদারি মানহানী মামলা দায়ের করেন দিলীর ঘোষের আইনজীবী।
এ বাদেও বাদেও মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar) বিরুদ্ধে। তিনি একটি টুইট করে লিখেছিলেন, দিলীপ ঘোষ নাকি বলেছেন যে ,”নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়ারা যদি বেশি কথা বলে তবে মতুয়াদের ভোট আমাদের চাই না। মতুয়ারা নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপিকে ব্ল্যাকমেল করছে।” এই টুইটতে অপপ্রচার বলে মানহানীর মামলা দায়ের হয়েছিল বারাসতের সাংসদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: আমি টাকা দিতাম, কিন্তু দুই মেদিনীপুর আমাকে দেখতে দেওয়া হতো না: মমতা
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের মামলা করেন দিলীপবাবু। তিনি বারাসতের একটি জনসভা থেকে গত ১৬ নভেম্বর মন্তব্য করেছিলেন, “বিজেপি বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করছে বিএসএফ আর কাস্টমস-এর মাধ্যমে নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য। দিল্লিতে সব ব্যবসায়ী প্রোমোটারদের নিয়ে গিয়ে কুকর্ম করাচ্ছেন। তাদের টাকা নিচ্ছে, বিনিময়ে তাদের কাজ করিয়ে দিচ্ছেন, এই হল দিলীপের ব্যবসা।”
অন্যদিকে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহঃ ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে দিলীপ মামলা করেন কারণ তিনি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি লেখেন, “আরএসএস-বিজেপি হিন্দু ধর্মকে হাইজ্যাক করে মসজিদ ভেঙে মুসলমানদের হ্রদয় রক্তাক্ত করছে। হিন্দুদেরদের মনে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ভরছে।” তিনি কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রায় নির্দেশের সুরেই বলেন, কোনও মুসলমানের আরএসএস-বিজেপিকে সমর্থন করা উচিত নয়।”