Taslima Nasrin: ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, পাকিস্তানপ্রেমী’, কলকাতায় বিজয় দিবস নিয়ে ইউনূস সরকারকে ধুয়ে দিলেন তসলিমা
Taslima Nasrin: প্রতি বছর কলকাতায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
কলকাতা: মাস চারেক আগে বাংলাদেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে একের পর এক অভিযোগ বিদ্ধ ইউনূস প্রশাসন। পদ্মাপারের দেশে আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত বারবার বার্তা দিলেও হেলদোল নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় বিজয় দিবস উদযাপন নিয়ে ইউনূস প্রশাসনকে আক্রমণ করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কলকাতায় বিজয় দিবসে বাংলাদেশের সরকারের কাউকে আমন্ত্রণ না জানানোর আহ্বান জানালেন তিনি।
প্রতি বছর কলকাতায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সেনা। এই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রতি বছর কলকাতায় বিজয় দিবসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আসেন। সেই প্রতিনিধি দলে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এবার বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতায় বিজয় দিবস পালন হচ্ছে। বাংলাদেশের ১-১২ জন প্রতিনিধি আসবেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের বর্তমান সেনা আধিকারিকরা থাকবেন।
এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তসলিমা নাসরিন এদিন লেখেন, “কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে। এতে থাকবেন ৭১ সালে যে ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন। বাংলাদেশ থেকেও নাকি প্রতিনিধিদল আসবে। এই প্রতিনিধিদলে যেন থাকেন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, ভুয়ো মুক্তিযোদ্ধা নয়। বিভিন্ন সরকার কিন্তু স্বজনদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট বিতরণ করেছেন নানা রকম সুবিধের লোভে।”
এখানেই থামেননি তসলিমা। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আক্রমণ করেন। তসলিমা লেখেন, “আর একটি কথা, সরকারের কাউকে যেন আমন্ত্রণ জানানো না হয়। কারণ সরকারে যাঁরাই আছেন, সকলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারপন্থী, পাকিস্তানপ্রেমী। তাঁরাই কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ করেছেন। তাঁরাই ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরাই মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাকে স্বাধীনতা উদযাপন বলে রায় দিয়েছেন।”