Doctors’ Protest: ‘কাজেই আছি…’, নবজাতকের জটিল অস্ত্রোপচারের পর বার্তা দিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা
Doctors' Protest: শনিবার এনআরএস হাসপাতালে এক জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। মালদহের নবজাতকের জটিল অস্ত্রোপচার করে প্রাণরক্ষা এনআরএসের শিশু শল্য বিভাগের। নবজাতকের বয়স যখন দু’দিন, তখন তাকে মালদহ থেকে এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়।

কলকাতা: ‘কাজেই আছি…’। এনআরএসে এক নবজাতকের পেট থেকে যমজ ভ্রূণ অস্ত্রোপচারে বার করে সেই বার্তাই দিলেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, দুটি মঞ্চ, একটি হাসপাতালের আর ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে অনশনকারীদের মঞ্চে চিকিৎসকদের ভিড় থাকলে, পরিষেবা কোথায় দাঁড়াবে? শাসকদলের নেতৃত্বের তরফে এমনও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে, তখন সিনিয়র চিকিৎসকরা এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এটাই বার্তা দিলেন, পরিষেবা যথাযথ রয়েছে।
শনিবার এনআরএস হাসপাতালে এক জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। মালদহের নবজাতকের জটিল অস্ত্রোপচার করে প্রাণরক্ষা এনআরএসের শিশু শল্য বিভাগের। নবজাতকের বয়স যখন দু’দিন, তখন তাকে মালদহ থেকে এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর ১৮ দিনের মাথায় ওই শিশুর অপারেশন করেন এনআরএসের শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা। শিশুটির অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
শনিবার মুখ্যসচিবের ফোন থেকে অনশনরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারী স্নিগ্ধা হাজরা, রুমেলিকা কুমারদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘অনশনের জেরে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে না। তবে কেন কাজে ফেরার বার্তা?’ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৮ জন অনশনকারী বাদে সকল চিকিৎসকই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত।
আন্দোলনকরী চিকিৎসক, যিনি অনশনও সামিল ছিলেন, পুলস্ত আচার্য স্পষ্ট বলেন, “অনশন মঞ্চে যাঁরা বসে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কাজ করছেন। কাজের পর তাঁরা অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন। ভলেন্টিয়ারি তাঁরা থাকছেন। রাতে অনশনকারীদের সঙ্গে থাকছেন। আমরা যাঁরা অনশন করছি, তাঁদের দেখভাল করেছেন। যেন ভুল বার্তা না পৌঁছয়, মানুষের কাছে, যে চিকিৎসা পরিষেবা মানুষ পাচ্ছেন না।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমি স্ট্রংলি বলতে চাই। কোনও জুনিয়র ডাক্তার কাজ বন্ধ করেননি। যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা সেই চৌকির ওপর কিচ্ছুটি না খেয়েই রয়েছেন। আর যাঁরা পাশে রয়েছেন, তাঁরা কাজের পর সেখানে তাঁদের পাশে থাকার জন্য যাচ্ছেন। সোমবার বিকাল পাঁচটার সময়ে আমাদের প্রতিনিধিরা নিশ্চয়ই যাবে, তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।”





