উত্তাল বিশ্বভারতীর আঁচ এবার কলকাতায়, উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাজপথে DSO

Visva Bharati: প্রতিবাদীদের হাতে লাল ঝান্ডা,মুখে স্লোগান 'ভাঙো অচলায়তন'।

উত্তাল বিশ্বভারতীর আঁচ এবার কলকাতায়, উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাজপথে DSO
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 3:11 PM

কলকাতা: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে কলকাতার রাজপথে নামল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরানোরও দাবি উঠল ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন বা ডিএসও (DSO)-এর মিছিল থেকে। শুক্রবার আদালতের দেওয়া রায়েরও কড়া সমালোচনা করেছেন এই ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তিন দফা দাবিতে বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগারিকের কাছে ডেপুটেশন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন এআইডিএসও-এর।

হাতে লাল ঝান্ডা, মুখে স্লোগান ‘ভাঙো অচলায়তন’। তিন দফা দাবির ভিত্তিতে বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগারিকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল ডিএসও। তাদের দাবি, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ। ডিএসও’র সদস্যদের দাবি, আরএসএসের খবরদারি শিক্ষাক্ষেত্রে চলবে না। তা ভাঙতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের তৃতীয় দাবি, যে তিন পড়ুয়াকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে, তাঁদের পুণরায় ফেরাতে হবে।

এই তিন দাবিতে, কলকাতায় বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন বিশ্বভারতীর গ্রন্থাগারিকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো শুক্রবার মিছিল করে তারা এই স্মারকলিপি জমা দিতে যায়। অন্যদিকে এদিনই বিশ্বভারতী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাকে সরাসরি পক্ষপাতদুষ্ট বলেই মন্তব্য করছেন এই সমস্ত সংগঠনের নেতৃত্ব।

সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়। তারই প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রথমে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস এবং পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাতভর ঘেরাও চলে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, উপাচার্যকে তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে। অনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের বরখাস্তও করা চলবে না। এর পর ক্রমেই অবনতি হয়েছে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতির।

এরই মধ্যে সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রিট পিটিশন জমা দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই পিটিশনে বলা হয়, পুলিশ ও আধিকারিক নিয়োগ করে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ জারি করুক আদালত। পাশাপাশি, সেন্ট্রাল অফিসের সামনের গেটে পড়ুয়াদের তালা ঝোলানো, গেট টপকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। ৩৮ পাতার সেই পিটিশনে আরও উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সাহায্য় পাওয়া যায়নি। এমনকি, পুলিশ সুপারকে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ।

এরই মধ্যে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এদিনের মধ্যেই অবরোধমুক্ত করতে হবে বিশ্বভারতীকে। ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ দেখানো চলবে না। আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, উপাচার্য বা আন্দোলনকারীরা কেউ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। বিশ্বভারতীর বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এদিন এজলাসে সওয়াল জবাব চলাকালীন বলেন, “রাজ্যের দায়িত্ব পালন দেখে আমি বেশি চিন্তিত।” বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আরও পড়ুন: TET মামলা: বোর্ড প্রেসিডেন্টকে পকেট থেকে মামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের