AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dumdum: ‘ভিক্ষা করে টাকা দেব, মেয়ে ফিরিয়ে দিন’, পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে দমদমের পরিবার

Dumdum Electrocution: যারা প্রকৃত দোষী, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত পর্যন্ত তাঁরা যাবেন, সে কথাও জানিয়ে রেখেছেন।

Dumdum: 'ভিক্ষা করে টাকা দেব, মেয়ে ফিরিয়ে দিন', পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইনি যুদ্ধে দমদমের পরিবার
মৃত স্নেহা বণিকের মা (ডান দিকে) ও মাসি
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 5:14 PM
Share

কলকাতা: মেয়ে হারিয়েছেন, তাই আর রাজনীতিক পাঁক ঘাঁটতে চান না দমদমের (Dumdum) বান্ধবনগরের স্নেহা বণিকের মা। কিন্তু যারা প্রকৃত দোষী, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত পর্যন্ত তাঁরা যাবেন, সে কথাও জানিয়ে রেখেছেন।

জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দমদমের বুকে দুই ছোট্ট মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনও শুরু। শুক্রবারই বান্ধবনগরে গিয়ে স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ান বিজেপি নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ সাংসদ অর্জুন সিংও গিয়েছিলেন সেখানে। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার পর স্নেহার মা পিঙ্কি বণিক জানান, “আমরা এতে রাজনীতি চাই না। কিন্তু আমি শুধু বলব, যে আমার মেয়ের মৃত্যুর কারণ তাঁর শাস্তি হোক।”

এই মৃত্যুর জন্য কাকে দায়ী করছেন পিঙ্কিদেবী? মেয়ে-হারা মায়ের কথায়, “অবশ্যই আমাদের কাউন্সিলর (বর্তমান পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য)। ওঁর গাফিলতির কারণেই আজকে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। লাইট পোষ্টটা যদি ঠিক থাকত, না ওখানে বিদ্যুৎ খোলা অবস্থায় থাকত, না বাচ্চা দুটোকে প্রাণ হারাতে হত। বাচ্চাগুলোর যখন কারেন্ট লেগেছে তখন পাশে কাউন্সিলের ছেলেগুলো দেখছিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু ওঠানোর কেউ ছিল না। ওরা ভিডিয়ো করেছে, ফটো তুলেছে। কেউ বাঁচাতে আসেনি। যখন আমাদের ডাকছে তখন এক ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। আমরা হাসপাতালে গেছি। তখন ডাক্তার বলছে ১০-১৫ আগে আনলে বাঁচানো যেত।”

স্নেহার মা ও মাসি স্পষ্ট ভাষায় স্থানীয় পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সুরজিৎ রায়কেই গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যু নিয়ে যাতে রাজনীতি না করা যায়, তার জন্য আইনি পথ ধরেই হাঁটবেন তাঁরা। তবে কোনও রাজনৈতিক দল যদি সহযোগিতা করতে চায়, করতে পারে।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ভবানীপুর উপ-নির্বাচন মামলায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্য, ‘কেন সিট ছাড়লেন শোভনদেব?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের

সরকারের পক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক দিতে চাওয়া হলেও সেটা নিতে অস্বীকার করেছে বণিক পরিবার। বরং তারা সন্তান ফিরে পেতে চায়। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এ দিন স্নেহার মা বলেন, “আমার বুকটা খালি হয়ে গিয়েছে। মেয়েটার জন্য দিন-রাত কাঁদছি। আমার মেয়েটা আমার কাছে নেই। মা বলে ডাকার মতোও আমায় আর কেউ নেই। আমার কষ্ট কি টাকার বিনিময়ে মেটাতে পারবে? ওঁদের তিন লাখের বদলে আমি পাঁচ লাখ দেব, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিক। রাস্তার থেকে ভিক্ষা করে দেব। আমি তো মা। সন্তানের মৃত্যুর বিনিময়ে টাকা নিয়ে কী ভাবে মুখ বন্ধ করে থাকব?”

আরও পড়ুন: COVID Deaths: ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে ভারত যা করেছে, তা কোনও দেশ পারেনি’, কেন্দ্রের ভূয়সী প্রশংসা শীর্ষ আদালতের