Child Trafficking: আনন্দপুরের শিশু বিক্রি কাণ্ডে লাভবান হয়েছে প্রত্যেক মিডলম্যান: সূত্র
Anandapur Child Selling Case: জন্মদাত্রী মা রূপালি মণ্ডল ও যাঁর কাছে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল, সেই কল্যাণী গুহ ছাড়া বাকি প্রত্যেকেই মিডলম্যানের ভূমিকায় কাজ করত। আর বাচ্চা বিক্রির টাকায় প্রত্যেকেই লাভবান হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কলকাতা: খাস কলকাতায় শিশু বিক্রির অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। পুলিশ আগেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল আনন্দপুরের ওই ঘটনায়। পরে গোলাম আম্বিয়া ও মমতা পাত্র নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আটজনকেই আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিচারক ১১ অগস্ট পর্যন্ত প্রত্যেকের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে আনন্দপুরের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে পুলিশি তদন্তে। জন্মদাত্রী মা রূপালি মণ্ডল ও যাঁর কাছে শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল, সেই কল্যাণী গুহ ছাড়া বাকি প্রত্যেকেই মিডলম্যানের ভূমিকায় কাজ করত। আর বাচ্চা বিক্রির টাকায় প্রত্যেকেই লাভবান হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এর পাশাপাশি অভিযুক্ত স্বপ্না সর্দারের বিরুদ্ধে এর আগেও বাচ্চা চুরির অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানায় এবং কোচবিহারের পাতিরামপুর থানায় স্বপ্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বাচ্চা চুরির। এদিকে আইভিএফ সেন্টারের যোগের তত্ত্বও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতার বেশ কিছু আইভিএফ সেন্টার ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রূপালি, কল্যাণী ও ধৃত ৬ মিডলম্যান ছাড়াও এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
উল্লেখ্য, আনন্দপুরের এই শিশু বিক্রির খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। কল্যাণী গুহ নামে ওই মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে নিঃসন্তান। তা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই ঝামেলার কারণেই বাচ্চা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কল্যাণী। পুলিশ সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। সেই সময়ে বেহালার কাছে এক আইভিএফ সেন্টারের কর্মরত এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় কল্যাণীর। তারপরই রূপালির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল সন্তান প্রসবের পর ওই বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দেওয়া হবে কল্যাণীর কাছে। ৪ লাখ টাকায় ২১ দিনের ছোট্ট মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।