Bengal BJP: পুজোয় ব্লকে ব্লকে নেতাদের সক্রিয়তা চাই, বার্তা বঙ্গ বিজেপির

BJP: ২০২০ সাল। ইজেডসিসিতে (EZCC) বিজেপির দুর্গাপুজো দেখেছে তামাম বাংলা। একুশের বিধানসভা ভোটের দামামা কার্যত বেজে গিয়েছে। সে সময় মুকুল রায় আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাতে দুর্গাপুজো করার দায়িত্ব ছিল।

Bengal BJP: পুজোয় ব্লকে ব্লকে নেতাদের সক্রিয়তা চাই, বার্তা বঙ্গ বিজেপির
বিজেপির দুর্গাপুজো।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2023 | 8:44 PM

কলকাতা: পরের বছর লোকসভা ভোট। তার আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে জনসংযোগের আধার করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। সেইমতো দলীয় নেতা কর্মীদের ময়দানে নামার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে দুর্গাপুজোয় জনসংযোগে জোর দেওয়ার জন্য বিজেপির তরফে বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোতে প্রত্যেক ব্লকে একটি করে পুজোতে নেতাদের যুক্ত থাকতে হবে বলে দলের নির্দেশ। এরজন্য আগাম প্রস্তুতিও নিতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে দল।

২০২০ সাল। ইজেডসিসিতে (EZCC) বিজেপির দুর্গাপুজো দেখেছে তামাম বাংলা। একুশের বিধানসভা ভোটের দামামা কার্যত বেজে গিয়েছে। সে সময় মুকুল রায় আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাতে দুর্গাপুজো করার দায়িত্ব ছিল। ভার্চুয়ালি নরেন্দ্র মোদী সে পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। পরের বছর একুশের ভোট মিটে গিয়েছে। কোনওরকম ফল হয়েছে বিজেপির। আবারও দুর্গাপুজো এল। সে বছর লোকই পাওয়া যাচ্ছিল না পুজো করার। বিজেপির বঙ্গ সংগঠনের তখন সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে কোনওভাবে পুজো সারা হয়। গতবার পুজোর দায়িত্ব পান অগ্নিমিত্রা পল।

এবার ইজেডসিসির পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই স্পষ্ট কোনও বার্তা সামনে আসেনি। তবে প্রতি ব্লকে নেতারা যাতে পুজোয় যুক্ত হন, সে নির্দেশ দিয়েছে দল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা নতুন কোনও নির্দেশিকা নয়। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী, সাংগঠনিক ক্ষমতা অনুযায়ী আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন দুর্গাপুজোয় অংশগ্রহণ করে থাকেন। যত বেশি সংখ্যক জায়গায় সম্ভব হয়, আমাদের বুকস্টল হয়। প্রতি বছর সে সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। প্রতি দুর্গাপুজোতেই আমরা জনসংযোগ করি। নির্বাচন আছে বলে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভোট না থাকলেও হতো।”

প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অধিকাংশ পুজোর সঙ্গেই শাসকদলের নেতারা যুক্ত। সেখানে বিজেপি নেতাদের ‘এন্ট্রি’ নেওয়া কি এতটাই সহজ হবে? শমীকের বক্তব্য, “এখন তৃণমূলের টাকার সোর্স কমে আসছে। ফলে অধিকাংশ জায়গায় ওদের লাফালাফিও কম। নামজাদা কিছু নেতা আছেন যাঁরা পুজো করেন এবং তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে থেকে পুজো করেন। তাঁরা করছেন।’ বিজেপি সূত্রে খবর, এবার পুজোয় বিজেপি নেতা কর্মীদের যুক্ত থাকা নিয়ে রাজ্য দফতরে বৈঠক হয়।

রাজনীতির লোকজনের সঙ্গে পুজোর জনসংযোগ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে। খাস কলকাতায় তো বটেই, জেলাগুলিতেও নাম করা নেতাদের পুজো ফি বছর শিরোনামে উঠে আসে। শুধু দুর্গাপুজোই নয়, কালীপুজোতেও এই জনসংযোগের ধারা অব্যাহত থাকে এ রাজ্যে। সূত্রের খবর, বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচির সমন্বয়ের ভার পড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতা প্রবাল লাহার উপর।