Leaps and Bounds: ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় কালীঘাটের দুটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করছে ED: সূত্র
Leaps and Bounds: ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমতলায় রয়েছে একটি জমি, যার ওপর বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। দুটি অর্ধনির্মিত বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ইডি-র দাবি, দুর্নীতির টাকায় এই বাড়ি ও সম্পত্তি কেনা ও নির্মাণ করা হয়েছিল।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামক সংস্থার নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর দফায় দফায় তথ্য সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের নির্দেশে একে একে ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্তা বা আধিকারিকদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। জমা পড়েছে হাজার হাজার পাতার নথি। সেই সব নথি থেকে কী পেয়েছে ইডি? কী পদক্ষেপ করছে তদন্তকারী সংস্থা? আদালতে সই তথ্য পেশ করেছে ইডি। সেই নথির তথ্য এল TV9 বাংলার হাতে। বুধবারই ইডি আদালতে জানিয়েছে, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সাড়ে সাত কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যে সে সব বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নামে থাকা যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কালীঘাট রোডের দুটি বহুতল। ইডি-র দেওয়া তথ্য বলছে, এর মধ্যে একটি বাড়ি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও অপরটি কিনেছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলাতেও সংস্থার নামে সম্পত্তি রয়েছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমতলায় রয়েছে একটি জমি, যার ওপর বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। দুটি অর্ধনির্মিত বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। ইডি-র দাবি, দুর্নীতির টাকায় এই বাড়ি ও সম্পত্তি কেনা ও নির্মাণ করা হয়েছিল।
আগেই ইডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল, এই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া চলছিল। সেই টাকাতেই এই সব সম্পত্তি কেনা বলে দাবি ইডি-র। তদন্তকারীরা বলছেন প্রথম ধাপে এই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া জলের কারখানা, নিউ আলিপুরের অফিসও নজরে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ইডি শেষ পর্যন্ত একটা প্রক্রিয়া শুরু করল, কিন্তু ম্যানেজ করার জন্য অনেক সময় দিল।” বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের দাবি, এই সংস্থা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তথ্য প্রমাণও জমা পড়েছে আদালতে। ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই অভিযোগকে ধ্রুব সত্য বলে মানতে নারাজ।