Recruitment Scam: রবীন্দ্রনাথ কাঁদছেন, আদালতে কেন বলল ED
Recruitment Scam: ইডি আইনজীবী বললেন, 'রাষ্ট্রপতির বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি কবিগুরুর চিন্তাধারার প্রতিফলন। কিন্তু কবিগুরু কি এই পরিস্থিতি দেখে সুখী হতেন? না, নিশ্চিতভাবে নয়।'
কলকাতা: রাজ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি হল বোলপুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন সেই বোলপুর সহ গোটা বীরভূম জেলাজুড়ে একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। শনিবার আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত অয়ন শীলের জামিনের বিরোধিতা করার সময় ইডির আইনজীবীর মুখে উঠে আসে বীরভূমের সেই দশার কথা। বললেন, ‘আগে বোলপুর শিক্ষার জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন বোলপুর চেনা যায় দুর্নীতি ও গরুপাচারের জন্য।’ ইডির আইনজীবীর বক্তব্যে উঠে আসে জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গেও। বললেন, ‘রাষ্ট্রপতির বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি কবিগুরুর চিন্তাধারার প্রতিফলন। কিন্তু কবিগুরু কি এই পরিস্থিতি দেখে সুখী হতেন? না, নিশ্চিতভাবে নয়। কবিগুরু নিঃশব্দে কাঁদছেন এবং রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি দেখে তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আরও বলেন, ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি লিখে এশিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই পুরস্কার মূল্য এবং অন্যান্য ফান্ড থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল। কবিগুরু আজ কাঁদছেন কারণ, বোলপুর এখন দুটো সি-এর জন্য বেশি পরিচিত শিক্ষার চেয়ে। এই দুটি সি হল- একটি করাপশন অন্যটি ক্যাটেলস স্মাগলিং। কবিগুরু কাঁদছেন। তাঁর শিক্ষা নীতি পাশ্চাত্য পূর্বের চিন্তাধারার মিশ্রণ ছিল। আজকে বাংলার শিক্ষা নীতি দুর্নীতিতে ভরা। কবিগুরু কাঁদছেন, গঙ্গার জল আর বহমান নয়। শিক্ষানীতিও স্থির হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তা দেখে কবিগুরু কাঁদছেন। তিনি কাঁদছেন রাজ্যে শিক্ষানীতি নরকে পরিণত হয়েছে দেখে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক নাম ইতিপূর্বেই উঠে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বীরভূমেও হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যোগও অতীতে পাওয়া গিয়েছে এই বোলপুর সংলগ্ন এলাকার সঙ্গে। শুধু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিই নয়, গরু পাচার মামলার তদন্তেও কেন্দ্রীয় সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে গোটা বীরভূম জেলা।